বসন্ত উৎসব পালন ঘিরে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।
কাছের লোকদের নিয়ে গোপনে বসন্ত উৎসব পালনের অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। বিশ্বভারতীর অল্প কয়েক জন কর্মী ও আধিকারিক এবং পড়ুয়ারা ছাড়া কারও কাছেই এই উৎসব পালনের খবর ছিল না। মঙ্গলবার এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বোলপুরে।বিশ্বভারতীর ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি দাবি করে কড়া সমালোচনা করেছেন বর্তমান প়ড়ুয়া থেকে প্রাক্তনীরা। গোটা বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করা হলেও বিশ্বভারতীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত।
গত বছর করোনার কারণে বসন্ত উত্সব শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়।সকলেই আশায় ছিলেন, এবার হয়তো বসন্ত উৎসব হবে। অভিযোগ, এ বছর দোল পূর্ণিমার প্রায় ২ সপ্তাহ আগেই অকাল বসন্ত উত্সব পালিত হল বিশ্বভারতীতে। রীতি মেনে উপাসনা গৃহে বৈতালিক ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বাকি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় গৌর প্রাঙ্গনে। তবে মঙ্গলবারের এই উত্সবে সকলের প্রবেশাধিকার ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে অভূতপূর্ব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় বিশ্বভারতীতে। মোতায়েন ছিলেন প্রচুর নিরাপত্তা কর্মী। অভিযোগ, সবই হয়েছে উপচার্যের নির্দেশে। এই উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীতে অনেক অনুষ্ঠানই সবাইকে না জানিয়ে আয়োজন করার অভিযোগ আগেও উঠেছে। তবে যে ভাবে এ বছর এই বসন্ত উত্সবের আয়োজন করা হল তা নিয়ে ক্ষুদ্ধ বর্তমান ছাত্রছাত্রী থেকে প্রাক্তনীরা। শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা তথা বিশ্বভারতীর ছাত্র সোমনাথ সাউ বলেন, “আমি দীর্ঘদিন বিশ্বভারতীর সঙ্গে জড়িত। বিশ্বভারতীর ইতিহাসে এমন ঘটনা প্রথম, যেখানে উপাচার্য নিজের ইচ্ছা মতো বসন্ত উত্সবের আয়োজন করলেন।”
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র নরুল হক বলেন, “বিশ্বভারতীর বসন্ত উত্সব মানে শিক্ষক, ছাত্র-সহ শান্তিনিকেতনের সঙ্গে জড়িত সবার কাছে বিশেষ একটি দিন। আজ শান্তিনিকেতনের মানুষকে লজ্জা দিল এই ঘটনা।”
গোটা বিষয় নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও তাঁদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy