Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
Visva-Bharati University

রাজেশের গ্রাম দত্তক নেওয়ার ভাবনা বিশ্বভারতীর

রবিবার রাজেশের গ্রাম, মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়ায় যান বিদ্যুৎবাবু-সহ বিশ্বভারতীর ২৪ জনের একটি প্রতিনিধিদল।

মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়ায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র

মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়ায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২০ ০৩:২৭
Share: Save:

লাদাখে নিহত জওয়ান রাজেশ ওরাংয়ের গ্রাম দত্তক নেওয়া যায় কি না তা নিয়ে বিশ্বভারতী আলোচনা করবে বলে জানালেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। রবিবার রাজেশের গ্রাম, মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়ায় যান বিদ্যুৎবাবু-সহ বিশ্বভারতীর ২৪ জনের একটি প্রতিনিধিদল।

এ দিন সকাল ১১টা রাজেশের বাড়িতে পৌঁছন বিদ্যুৎবাবু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অধ্যাপকমণ্ডলীর যুগ্ম সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য, দেবাশিস রায়, রেজিস্ট্রার আশা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। তাঁরা রাজেশের ছবিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান ও বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে রাজেশের মায়ের হাতে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা ও একটি মানপত্র তুলে দেন।

রাজেশের পরিবারের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে ওই গ্রামে রাজেশের নামে একটি স্কুল চালু করার কথা জানানো হয়। উপাচার্য তাঁদের আশ্বাস দেন এই বিষয়টি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন বলে। উপাচার্য বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার ক্ষেত্রে ৫০টি গ্রামকে দত্তক নিয়েছেন। যদি এই গ্রামটিকেও দত্তক নেওয়া যায়, সেই বিষয়টি আলোচনা করবো।’’

রাজেশের বোন শকুন্তলার হাতে একটি চিঠি তুলে দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর তরফে। তা দেখিয়ে যে কোনও সময় শকুন্তলা নিজের পড়াশোনার জন্য ভর্তি হতে পারবেন বিশ্বভারতীতে। সব সময় তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন উপাচার্য। এরপরে রাজেশের সমাধিস্থলে আসেন বিদ্যুৎবাবু। সেখানে সকলে ২ মিনিট নীরবতা পালন করার পর মোমবাতি জ্বালিয়ে রাজেশের সমাধির ওপর মাল্যদান করেন উপাচার্য। বাকিরাও একে একে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান।

এ দিনই গুসকরার একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্য এসে সিউড়ি থেকে হাতে মশাল নিয়ে দু’কিলোমিটার পথ দৌড়ে রাজেশের বাড়িতে আসেন। তাঁরাও রাজেশের ছবিতে মাল্যদান করে পরিবারকে সমবেদনা জানান। তাঁরা একটি মানপত্র ও রাজেশের মায়ের মায়ের হাতে একটি শাড়ি তুলে দেন। ক্লাবের সভাপতি সৌগত মল্লিক বলেন, ‘‘যে কোনও বিপদে বীর জওয়ানের পরিবারের পাশে আমরা থাকব।’’

মহম্মদবাজার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও গ্রামে ও সমাধিস্থলে রাখা হয়েছে পুলিশি নজরদারি। সমাধিস্থলে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও।

অন্য বিষয়গুলি:

Visva-Bharati University Galwan Martyr Rajesh Orang
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy