হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের ঘটনা। নিজস্ব চিত্র।
ট্রেনের কামরায় দুই যাত্রীর মধ্যে বচসা। তার জেরে চলন্ত ট্রেন থেকে এক যাত্রীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অন্য জনের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের ওই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ট্রেনেরই অন্য এক সহযাত্রীর তোলা সেই ভিডিয়ো দেখেই অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে রেলপুলিশ। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তারাপীঠ রোড ও রামপুরহাট স্টেশনের মাঝামাঝি একটা জায়গায় ঘটনাটি ঘটে বলে রেলপুলিশের দাবি।
রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে যাত্রীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় তাঁর নাম সজল শেখ। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় তারাপীঠ রোড ও রামপুরহাট স্টেশনের মাঝে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার পর তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর জখম সজলের বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাট থানার সুঁদিপুরে। সজলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানোর বিষয়টি জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘ওই যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে আমরা জানতে পেরেছি।’’
ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার দৃশ্য মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন ওই কামরার এক মূক ও বধির যাত্রী। রেলপুলিশ জানিয়েছে, ওই যাত্রীই ট্রেন থেকে নেমে মুরারই থানায় গোটা ঘটনা জানান। ভিডিয়োটিও পুলিশের হাতে তুলে দেন। মূক ও বধির যাত্রীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ঘটনার তদন্তে তল্লাশি চালিয়ে সজলকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোনও লিখিত অভিযোগ শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত দায়ের হয়নি।
প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কামরায় অনেক ক্ষণ ধরেই ওই দুই যাত্রীর মধ্যে বচসা চলছিল। তাঁদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়। বচসা চরমে উঠতেই এক জন অন্য জনকে চলন্ত ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দেন। তার পর নির্বিকার মুখে নিজের আসনে এসে বসে পড়েন। কপালে আঙুল ঠেকিয়ে নমস্কারও করেন তিনি। তবে রেলপুলিশ সূত্রে খবর, ভিডিয়োয় যে ব্যক্তিকে ধাক্কা দিতে দেখা গিয়েছে, তাঁর নামপরিচয় এখনও জানা যায়নি। একলব্য বলেন, ‘‘ওই সময়ের ভিডিয়ো দেখে অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে রেলপুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy