তখন তাঁর জন্য ডোকরার শিল্পসামগ্রী টেবিেল সাজিয়ে অপেক্ষায় বিকনার শিল্পডাঙা। নিজস্ব চিত্র
সভায় যাওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে গ্রামে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী—সেই আশায় সকাল সকাল হাতের কাজ সেরে তৈরি ছিলেন বাঁকুড়ার ডোকরা শিল্পীদের গ্রাম, শিল্পডাঙার বাসিন্দারা। উপহার হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে কিছু তুলে দিতে শিল্পসামগ্রীও তৈরি করে রেখেছিলেন অনেকে। তবে শেষ পর্যন্ত গ্রামে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। সভাস্থলের পাশের হেলিপ্যাডে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার সাধ মেটান শিল্পডাঙার মানুষ।
শিল্পডাঙার কাছে বলরামপুর ফুটবল ময়দানে শুক্রবার ছিল প্রশাসনিক সভা। হস্তশিল্পীদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া মুখ্যমন্ত্রী সভায় যাওয়ার পথে শিল্পীডাঙা ঘুরে যেতে পারেন, অনুমান ছিল প্রশাসনিক মহলের। তাই তাঁর সফরের আগে গ্রামের বাড়ির দেওয়ালে দেওয়ালে ছবি আঁকা, গ্রামে ঢোকার মুখে শিল্পডাঙার গেট সংস্কার বা বসার জন্য ফাইবারের সুদৃশ্য চেয়ারের ব্যবস্থা করা-সহ নানা পদক্ষেপ হয় প্রশাসনের তরফে। ডোকরা শিল্পী উত্তম কর্মকার, হাবল কর্মকারেরা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আসতে পারেন বলে আমাদের গ্রামকে নতুন করে সাজানো হল। আমরাও অপেক্ষায় ছিলাম। তবে ওঁর গাড়ি থামল না।” মুখ্যমন্ত্রী এক বার গ্রামে এলে খুশির অন্ত থাকত না, জানান গ্রামের বধূ বুল্টি কর্মকার, কল্যাণী কর্মকারেরা। মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য বানানো পাথরের রথ দিতে না পেরে হতাশ দেওয়ালচিত্রের কাজ করা শিল্পী অনন্ত দে-ও। তবে মুখ্যমন্ত্রী গ্রামে না এলেও হেলিপ্যাডে গিয়ে তাঁকে দেখে এসেছেন, জানান গ্রামের এক যুবক ধনঞ্জয় কর্মকার। তিনি বলেন, “গত কয়েক দিনে প্রশাসন গ্রামটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলেছে। এটাও আমাদের কাছে বড় পাওনা।”
এ দিন সভা থেকে জেলার হস্তশিল্পীদের প্রশংসা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। ডোকরা, পটচিত্র, পোড়ামাটির শিল্পের কথা তুলে ধরেছেন। সভাস্থলের কাছে একটি হস্তশিল্পের স্টল থেকে রানিবাঁধের একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি করা কাগজের ব্যাগ সংগ্রহ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কাগজ দিয়ে কী সুন্দর ব্যাগটা তৈরি করেছে। আমি নিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy