এক ব্যক্তির নতুন মোবাইল ভর্তি ব্যাগ হাতিয়ে চম্পট দিয়েছিল দুই দুষ্কৃতী। খবর পেয়েই তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই এক সন্দেহভাজনকে ধরে ফেলে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চুরি যাওয়া বেশ কয়েকটি মোবাইল-সহ ধরা পড়ল দ্বিতীয় জনও।
বুধবার সকালে সাঁইথিয়া বাসস্ট্যান্ড চত্বরের ঘটনা। পুলিশ জানায়, ওই চুরির ঘটনায় ধৃত দু’জনের নাম ফিরোজ শেখ এবং জিয়ার শেখ। দু’জনেরই বাড়ি ইলামবাজারে। আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতদের সিউড়ি আদালতে হাজির করবে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সাঁইথিয়ার কোপাইয়ের বাসিন্দা মোবাইল ব্যবসায়ী রাহুলকুমার সাউ বিভিন্ন কোম্পানির ৪৪টি নতুন মোবাইল ব্যাগে করে ময়ূরেশ্বরের একটি দোকানে দিতে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ সাঁইথিয়া স্টেশনে তিনি ট্রেন থেকে নামেন। সাঁইথিয়া বাসস্ট্যান্ডে ময়ূরেশ্বরের বাসে চেপে ব্যাগটি পায়ের কাছে রেখে জানালার ধারে বসেন রাহুল। তাঁর দাবি, ‘‘এক যুবক আমার পাশে বসে ব্যাগটা একটু সরাতে বলে। তার পর ওই যুবক নিজেই মোবাইল ভর্তি ব্যাগটি একটু সরিয়ে দেয়। আমি একটু অন্যমনস্ক হয়ে জানালার দিকে চেয়েছিলাম। হঠাৎ-ই ফিরে দেখি আমার পাশে বসা যুবক ও ব্যাগ, কোনওটাই নেই।’’
এ দিকে, ব্যাগ চুরি হয়ে গিয়েছে বুঝেই চিৎকার করে ওঠেন রাহুল। বাস থামিয়ে দেওয়া হয়। কাছেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদের সব জানানো হয়। তাঁদের কাছ থেকে খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশও চলে আসে। পুলিশ জানায়, রাহুলের পাশে বসা যুবকের বর্ণনা অনুযায়ী বাসস্ট্যান্ড চত্বর থেকেই ফিরোজ নামে এক যুবককে আটক করা হয়। তাকে চেপে ধরতেই চুরির কথা কবুল করে নেয়। ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুপুরেই চুরি যাওয়া ২০টি মোবাইল-সহ জিয়ারকে ধরা হয়। বাকি মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা উদ্ধারের জন্য আদালতের কাছে দু’জনকেই পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy