পুরভোটে বুথে বুথে দলের ছাত্র-যুব সংগঠনের সদস্যদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার সতীঘাট এলাকার একটি লজে তৃণমূল ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে পুরভোট সংক্রান্ত একটি সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ, জেলা সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য অরূপ চক্রবর্তী, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকে। শিবাজীবাবু বলেন, “পুরভোটের দিনে তিনটি পুরসভার প্রত্যেকটি বুথের আশাপাশে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে ছাত্র-যুব সদস্যদের। বিশেষ করে সোনামুখী পুরসভায় এ বার আমরা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবো। যে কোনও ভোটে জয়ের পিছনে ছাত্র-যুবদের বড় অবদান থাকে। সে কথাই এ দিন মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত কলেজ ভোটেও এই জেলায় ছাত্রদের সঙ্গে যুবদের মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছিল শাসকদল। বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রাক্তন ছাত্রনেতা শিবাজীর উপরেও। তারপর একটি কলেজেও মনোনয়নপত্র তুলতে পারেনি বিরোধীরা। লাগামহীন সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। যার নেপথ্যে শিবাজীবাবু ছিলেন বলেই অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। এই ঘটনার পর পুরভোটের মুখে তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের বুথে বুথে নামানোর রণকৌশলকে সন্ত্রাস চালানোর ‘ছক’ বলেই অভিহিত করছেন বিরোধীরা।
বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি সুভাষ সরকার বলেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কলেজ ভোট হলে প্রত্যেকটি কলেজেই আমরা জিততাম। তাই কলেজে সন্ত্রাস চালাতে আগাম ছক কষে ছাত্রদের সঙ্গে যুবদেরও নামিয়েছিল তৃণমূল। এ বারও একই চালে ভোট করতে চাইছে তারা। তবে মানুষকে দমাতে পারবে না।”
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ-র অবশ্য দাবি, “ছাত্র-যুবরা আমাদের সংগঠনের অঙ্গ। তৃণমূলের সমস্ত শাখা সংগঠনই পুরভোটে নামবে। বিরোধীরা হার নিয়ে নিশ্চিত। তাই আগে থেকেই এই সব মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।”
যদিও এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভানেত্রী চুমকি বন্দ্যোপাধ্যায়। অরূপবাবু এ বিষয়ে বলেন, “চুমকি জেলার বাইরে। তাই তিনি আসতে পারেননি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy