—প্রতীকী ছবি।
অতিরিক্ত ২০ ঘণ্টা কাজ করতে বলেছিলেন বস্। রাজি না হওয়ায় চাকরি থেকে তাড়িয়েই দেওয়া হল প্রতিবন্ধী কর্মীকে। ওই কর্মী সমাজমাধ্যমে এসে নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন। রেডিটের জনপ্রিয় অ্যান্টিওয়ার্ক সাবরেডিটে পোস্টটি করেছেন। এর পরেই বিভিন্ন সংস্থায় কাজের পরিবেশ এবং বর্তমান চাকরির বাজারে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রতিবন্ধী কর্মী দাবি করেছেন, তিনি একটি মাঝারি মাপের বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করতেন। তাঁর বস্ অতিরিক্ত কাজ করার জন্য অনেক দিন ধরেই চাপ দিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর উপর। অন্য কর্মীদের সঙ্গে তাঁর তুলনাও করতেন। তবে যাঁদের সঙ্গে তুলনা করা হত, তাঁরা প্রায় তিন গুণ বেশি বেতন পেতেন বলে দাবি করেছেন ওই কর্মী। ওই কর্মী জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁর বস্ তাঁকে বেশি সময় কাজ করার নির্দেশ দেন। নির্দেশ দেওয়া হয় সপ্তাহে অতিরিক্ত ২০ ঘণ্টা কাজ করার। কিন্তু ওই কর্মী বেঁকে বসেন। অতিরিক্ত সময় কাজ করতে রাজি হননি তিনি। এর পরেই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। যুক্তি দেওয়া হয়, ওই কর্মী সংস্থার জন্য ‘মানানসই’ নন।
ওই কর্মী লিখেছেন, ‘‘আমি সত্যিই বিচলিত বোধ করছি না। আমার কাঁধ থেকে বিশাল বোঝা নেমেছে। আমি এই চাকরি করে অনেক বেতনও পেয়েছি।’’ পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছেন, চাকরি চলে যাওয়ায় তিনি খুব একটা দুঃখিত নন কারণ সহকর্মীরা তাঁর ‘পরিবার’ হয়ে উঠতে পারেননি।
ওই কর্মীর পোস্টকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ঝড় উঠেছে। নেটাগরিকদের এক জন লিখেছেন, ‘‘প্রযুক্তিগত কাজের ক্ষেত্রে পরিবেশ খারাপ। কিন্তু তার মধ্যেও কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছিল। তবে ছাঁটাই করার হিড়িকও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আমি খুশি যে আপনি আপনার অবস্থানে অনড় থেকেছেন।’’ অন্য এক জন যোগ করেছেন, ‘‘আমার খারাপ লাগছে যে আপনি খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি আপনি জলদি চাকরি এবং প্রাপ্য সম্মান পাবেন।’’ প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর কাজ করার ওই আগ্রহ এবং স্পষ্ট বক্তব্যের জন্য তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy