প্রতীকী ছবি
দৌড়-ঝাঁপ বা সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে বসে অনলাইনে আবেদন করেই ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার ব্যবস্থা চালু হল সিউড়ি ১ ব্লক বা পঞ্চায়েত সমিতিতে। মঙ্গলবার থেকেই এই ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।
সিউড়ি ১ ব্লকের বিডিও তথা পঞ্চায়েত সমিতির এগজিকিউটিভ অফিসার শিবাশিস সরকার জানিয়েছেন, উপযুক্ত নথি দিয়ে আবেদন করা এবং আবেদন গ্রাহ্য হলে প্রয়োজনীয় ফি দিলে ঘরে বসেই যে কেউ তাঁর ট্রেড লাইসেন্স পেতে পারেন। বিডিওর সংযোজন, ‘‘এখন বিষয়টি পোর্টাল নির্ভর। তবে আগামী দিনে ওই ব্যবস্থার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের কথাও ভাবা হচ্ছে।’’
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতির এক্তিয়ারে থাকা ব্যবসা সমূহ যেমন ইটভাটা (চিমনি), জেঞ্জারাস ট্রেড যেমন পেট্রোল পাম্প, গ্রিল ফ্যাক্টরি, অটো মোবাইল— এমনই নানা ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স পেতে একাধিকবার ব্লকে বা পঞ্চায়েত সমিতিতে আসতে হত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকে। সিউড়ি ১ ব্লকের মধ্যেই জেলা প্রশাসনের সদর দফতর রয়েছে। পুরসভা ঘেঁষা পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে এমন অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের পঞ্চায়েত সমিতি থেকেই ট্রেড লাইসেন্স নিতে হয়। তাঁদের স্বস্তি দিতে এবং প্রক্রিয়াটির মধ্যে স্বচ্ছতা আনতেই এমন পদক্ষেপ। এমনটা বলছে ব্লক প্রশাসন।
এর আগে ব্লক ও পঞ্চায়েত কর্মীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করা, সরকারি তহবিলের মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে পঞ্চায়েত সমিতির নিজস্ব তহবিল বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছিলেন বিডিও। পঞ্চায়েত সমিতি কোন কোন ক্ষেত্রে কর বহির্ভূত আয় আদায় করতে পারবে তার বাই-ল বা উপ আইন তৈরি করে তহবিল গড়ায় জোর পড়েছিল কয়েক মাস আগেই। এ বার অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স চালু করা নতুন সংযোজন।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিডিও সিউড়ি ১ অফিসিয়াল সাইট রয়েছে ব্লক প্রশাসনের। সেখানে ঢুকলেই দেখা যাবে অনলাইন লাইসেন্সের জন্য আবেদনের সুযোগ রয়েছে। সিউড়ি ১ ব্লকে বসবাসকারী যে কেউ ঘরে বসে ওই পোর্টালে ঢুকে আবেদন করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় নথি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। সেটা খতিয়ে দেখবেন ক্যাশিয়ার। যদি নথিতে সমস্যা থাকে সেটা গৃহীত হবে না। যদি দেখা যায় প্রয়োজনীয় নথিগুলি ঠিক আছে। প্রয়োজনে সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হতে পারে। বিডিও জানিয়েছেন, ক্যাশিয়ার আবেদন গ্রহণ করলেই সেটা তাঁর লগ-ইনে চলে আসবে। এর পরেই প্রয়োজনীয় ফি অনলাইনে জমা দিলে সেটির অনুমোদন দেবেন বিডিও। আবেদনকারী ঘরে বসেই ট্রেড লাইসেন্স ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। ব্যবসায়ীদের একাংশ মনে করছেন, ‘‘এখন হাতে হাতে মোবাইল। ফলে সুবিধাই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy