ট্র্যাক্টর উল্টে পড়ে মৃত্যু দুই কিশোরের। — নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার ধারের নয়ানজুলিতে ট্র্যাক্টর উল্টে মৃত্যু হল দুই কিশোরের। আহত হয়েছে আরও চার জন। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার আসনবনি গ্রামে। দুই কিশোরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার আসনবনি গ্রামের বাসিন্দা জীবন বাগদি মঙ্গলবার সকালে কাকার ট্র্যাক্টরে হারভেস্টার চাপিয়ে তা ধুতে নিয়ে যাচ্ছিল স্থানীয় একটি পুকুরে। যাওয়ার পথে ট্র্যাক্টরে উঠে পড়ে গ্রামেরই কয়েক জন কিশোর। গ্রামের রাস্তা দিয়ে পুকুরের দিকে যাওয়ার পথে আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের নয়ানজুলিতে উল্টে যায় ট্র্যাক্টরটি। জানা গেছে, ট্র্যাক্টরের চালক জীবন-সহ মোট ছ’জন ট্র্যাক্টরের নীচে চাপা পড়ে যায়।
তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছ’জনকে উদ্ধার করে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে ১৬ বছরের আবির বাগদি এবং ১৪ বছরের দীপু বাগদি নামের দুই কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আহতদের প্রাথমিক ভাবে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়। ট্র্যাক্টর চালক জীবনের আঘাত গুরুতর। পরে তাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়ন্ত ঘোষ বলেন, ‘‘গ্রামের রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। রাস্তার এই বেহাল দশার কারণেই ট্র্যাক্টরটি উল্টে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। গ্রামের দু’টি কমবয়সি ছেলেকে হারাতে হল।’’ আহত কিশোর আকাশ বাগদি বলেছে, ‘‘ট্র্যাক্টরে চেপে আমরা সকলেই পুকুরের দিকে যাচ্ছিলাম। আচমকাই ট্র্যাক্টরটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে রাস্তা থেকে নীচে নেমে যায়। পরে ট্র্যাক্টরটি রাস্তার ধারের নয়ানজুলিতে উল্টে পড়ে যায়। ট্র্যাক্টরটি উল্টে যাওয়ার আগেই আমি ছিটকে পড়ি। অন্যরা সকলেই চাপা পড়ে গিয়েছিল। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।’’ বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’’ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy