তৃণমূলের দ্বন্দ্ব মিটছে না নিতুড়িয়ায়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিধায়ক যে ভাবে একই কর্মসূচিতে সভা ও পাল্টা সভা, মিছিল করছেন এলাকায় তাতে দলের মধ্যে ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে।
নোট বাতিলের প্রতিবাদে শুক্রবার নিতুড়িয়ার পারবেলিয়ায় কর্মীদের নিয়ে মিছিল ও সভা করেন দলের ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তিভূষণপ্রসাদ যাদব। সে দিন ওই মিছিলে অনুপস্থিত থাকা ওই এলাকার দলীয় বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি রবিবার বিকেলে সেই নোট বাতিলের প্রতিবাদেই নিতুড়িয়ার সড়বড়িতে সভা করলেন। কিন্তু সভামঞ্চে দেখা যায়নি ব্লক সভাপতি শান্তিভূষণবাবুকে। পুলিশের হিসাবে, তৃণমূলের দু’টি কর্মসূচিতেই ভিড়ের পাল্লা ছিল সমান-সমান।
বিধানসভা নির্বাচনের গোড়ায় টিকিট নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল পূর্ণবাবু ও শান্তিভূষণবাবুর মধ্যে। নিতুড়িয়া ব্লকে প্রত্যাশিত ফল না হওয়ায় পূর্ণবাবুর অনুগামীরা শান্তিভূষণবাবুর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই থেকে দুই নেতা কার্যত একে অন্যের ছায়া মাড়চ্ছেন না।
বিধায়কের ঘনিষ্ঠ শিবিরের খবর, ব্লক সভাপতির নোট বাতিলের বিরুদ্ধে মিছিলে ভাল ভিড় হয়েছিল শুনেই তাঁরা পাল্টা সভা করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো পরিকল্পনা করায় এ দিনের সভাতেও ভালই ভিড় হয়। ঘটনাচক্রে এ দিন বিধায়কের সভার আগে পারবেলিয়ায় নিজের এলাকায় দলের মহিলা সংগঠনের একটি সভার ব্যবস্থা করেছিলেন শান্তিভূষণবাবু।
তবে এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে হতাশ তৃণমূলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকেরা। দলের কিছু প্রবীণ সদস্যের কথায়, ‘‘দলনেত্রী দ্বন্দ্ব মিটিয়ে এক হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিলেও নিতুড়িয়ায় তা কোথায় দেখা যাচ্ছে?’’ এ দিন বিধায়ক দাবি করেন, ‘‘দলে দ্বন্দ্ব নেই।’’ কিন্তু একই বিষয়ে দু’টি সভা কেন? উত্তর এড়িয়েছেন তিনি। দ্বন্দ্বের কথা মানেননি শান্তিভূষণবাবুও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy