সিকিমের রাস্তায় ধস। ছবি পর্যটকদের সৌজন্যে।
পুজোর ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে পাহাড়ে আটকে পড়েছেন বোলপুরের কয়েকজন বাসিন্দা। টেলিফোনে যোগাযোগ থাকলেও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারছেন না বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বোলপুর শহর এলাকার তিনটি পরিবার পুজোর ছুটিতে সিকিম বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন। গত ১২ অক্টোবর সপ্তমীর দিন বোলপুর থেকে ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি গিয়ে সেখান থেকে সিকিম পৌঁছন ওই তিনটি পরিবারের সদস্যরা। ১৩ অক্টোবর সিকিমের রংপো পৌঁছনোর পর দু’দিন আবহাওয়া ভাল থাকলেও তারপর অবিরাম বৃষ্টি শুরু হয়। টানা বৃষ্টিপাতের পরে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ধস নামতে শুরু করে। পথ বন্ধ হলেও কোনও রকমে তাঁরা সিকিমের মাঝিটার গ্রামে পৌঁছন। প্রায় চার দিন ধরে একটি হোমস্টে’তে আছেন। সেখানেও খাবার কমে আসছে বলে জানিয়েছেন হোমস্টে কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎহীন অবস্থাতে থাকতে হচ্ছে। মোবাইল চার্জ দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ওই তিন পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে তাঁরা যে জায়গাটিতে আছেন সেখান থেকে শিলিগুড়ির দূরত্ব ৮০-৮৫ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবারের পরে আবহাওয়া কিছুটা ভাল হলেও শুক্রবার ফের বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাত নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনও শিলিগুড়ি থেকে সিকিম বা কালিম্পংগামী মূল রাস্তা ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং দার্জিলিংগামী ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক সহ বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। গত ২০ অক্টোবর বোলপুরের ওই তিন পরিবারের ফেরার কথা ছিল। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আটকে পড়া পর্যটক নন্দিনী চক্রবর্তী বলেন, “একমাত্র পথ দার্জিলিং হয়ে ২৫-৩০ কিলোমিটার ঘুরপথে শিলিগুড়ি যাওয়া কিন্তু গাড়ি ভাড়া যা হাঁকছে তা দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তাছাড়া সেই পথও কতটা চলাচলের যোগ্য আছে তা সঠিক কেউ বলতে পারছে না।’’
সাতদিনের জন্য গিয়ে এইভাবে আরও কয়েকদিন আটকে পড়ায় পকেটেও টান পড়তে শুরু করেছে পর্যটকদের।
সুরজিৎ ঘোষ হাজরা, সুদীপ চৌধুরীরা বলেন, “আমরা তিনটি পরিবার মিলে পুজোর ছুটি কাটাতে সিকিম বেড়াতে এসেছিলাম। ভাবিনি এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে আমাদেরকে। খাবার, বিদ্যুৎ থেকে পানীয় জল সবকিছু পেতে যথেষ্টই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। আমাদেরকে এখান থেকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করুক সিকিম সরকার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy