সেই স্কুল। নিজস্ব চিত্র
ক্লাসরুম থেকে স্কুল চত্বর। মিড ডে মিল রান্নার ঘর থেকে শৌচাগার— পরিচ্ছন্নতা বাড়িয়ে নির্মল বিদ্যালয়ের তকমার আশায় নানুরের আলিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়।
স্কুল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর পরিবেশবান্ধব ও পরিচ্ছন্নতার নিরিখে প্রতিটি চক্র থেকে একটি করে স্কুলকে নির্মল বিদ্যালয় ঘোষণা করা হয়। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের রিপোর্টের ভিত্তিতে জেলা শিক্ষা দফতর ওই ঘোষণা করে। সোমবারই নানুর দক্ষিণ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের তরফ থেকে ওই স্কুল পরিদর্শনের পরে রিপোর্ট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই হিসেবে নির্মল বিদ্যালয় হিসাবে ওই স্কুলের নাম ঘোষণা এখন সময়ের অপেক্ষামাত্র।
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১৯ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষকদের অফিসঘর, সভাকক্ষ, মনীষীদের ছবি সম্বলিত আর্ট গ্যালারির পাশাপাশি তৈরি হয়েছে মিড ডে মিল রান্না ও খাওয়ার জায়গা, ছাত্র ও ছাত্রীদের পৃথক শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা। মিড ডে মিল রান্নার জন্য রাঁধুনিদের নির্দিষ্ট পোশাক পড়া বাধ্যতামূলক। মিড ডে মিল রান্নার দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী রেখা দাস ও সাদেশ্বরী মেটে জানান, শুধু পোশাক নয়, রান্না এবং পরিবেশনের ক্ষেত্রেও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয়। রান্না ও পরিবেশনই শুধু নয়, খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোওয়াও বাধ্যতামূলক। সীমিত সরকারি বরাদ্দেই মিড ডে মিলে স্বাদ আনতে তৈরি হয়েছে আনাজের বাগান। স্কুলের আবর্জনা থেকে জৈব সার তৈরি করে ব্যবহার করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বদেশ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘স্কুলের উন্নয়নে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য অন্যতম পাথেয়।’’ অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘‘নির্মল বিদ্যালয় হিসেবে আবশ্যিক শর্তাবলী পূরণের ক্ষেত্রে নানুর দক্ষিণ চক্রের মধ্যে আলিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় এগিয়ে। পরিদর্শনের পরে জেলা শিক্ষা দফতরের কাছে সেই রিপোর্টই পাঠানো হচ্ছে। এখন জেলা শিক্ষা দফতরই যা করার করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy