টাকা না পেয়ে কেটলি চুরি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
দরজা ভেঙে ঢুকে একের পর এক আলমারি ভেঙেছিল দুষ্কৃতীরা। দফতরের প্রতিটি ড্রয়ারও তারা তন্নতন্ন করে খুঁজেছিল। দফতরের ‘পয়েন্ট অব সেল’ যন্ত্র হাতে পেলেও পাসওয়ার্ড হাতে না থাকায় তাদের বিফল হতে হয়। হতাশ হয়ে অবশেষে দফতরে রাখা ইলেকট্রিক কেটলিতে চা তৈরি করে তারা। পানও করে। যাওয়ার সময় অবশ্য সেই কেটলিটি নিয়ে চম্পট দিয়েছে তারা। সোমবার সকালে এমন আজব চুরির ঘটনা নজরে আসে বাঁকুড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরে। তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।
বাঁকুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র মাচানতলায় জেলাশাসকের দফতর এবং জেলা আদালত চত্বরে রয়েছে জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর। শনি এবং রবিবার পর পর দু’দিন দফতর বন্ধ ছিল। সোমবার সকালে কর্মীরা দফতরে ঢুকে দেখতে পান পিছনের দিকের দরজার তালা ভাঙা। চারটি স্টিলের আলমারির দরজাও হাট করে খোলা। আলমারির ভেতরে থাকা সমস্ত নথি তছনছ করা অবস্থায় রয়েছে। টেবিলেও ইতস্তত ছড়িয়ে রয়েছে নথিপত্র। টেবিলের ড্রয়ারে থাকা ‘পয়েন্ট অব সেল’ যন্ত্রটিও টেবিলের উপর পড়ে। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি দফতরের কর্মীদের চা পানের জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রিক কেটলিটি। চা এবং চিনির পাত্রের ঢাকনাও খোলা অবস্থায় ছিল। কর্মীদের দাবি, ওই পাত্রগুলিতে যে পরিমাণ চা এবং চিনি ছিল, তা কমেছে অনেকটা। তাঁদের একাংশের ধারণা, নগদ টাকার খোঁজে দফতরে ঢুকেছিল চোরের দল। কিন্তু তা না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। তাই চা তৈরি করে খেয়ে চলে যাওয়ার সময় তারা ইলেকট্রিক কেটলিটি নিয়ে চম্পট দেয়।
বাঁকুড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক (আরটিও) সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের ধারণা, চোরেরা নিজেদের কাজে লাগবে ভেবেই ইলেকট্রিক কেটলিটি নিয়ে গিয়েছে। তবে তারা দফতরের ভিতরে তারা চা তৈরি করে খেয়েছিল কি না তা বলতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy