চাষির সংখ্যা বাড়লেও সে তুলনায় চাষজমির পরিমাণ বাড়ল না। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বিমার আওতায় আসা চাষির সংখ্যা বাড়লেও সে তুলনায় চাষজমির পরিমাণ বাড়ল না। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
সদ্য বাংলা শস্য বিমার আওতায় খরিফ চাষিদের নাম নথিভুক্তি শেষ হয়েছে বাঁকুড়া জেলায়। বিমার আওতায় বেশি সংখ্যক চাষিদের নিয়ে আসায় এ বছর জোর দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়তি সময়ও দেওয়া হয়েছিল। ফলে চাষির সংখ্যা বাড়ানোটা একপ্রকার চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছিল কৃষি দফতরের কাছে। শেষ পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় এ বার বাংলা শস্য বিমার আওতায় বাঁকুড়া জেলায় চাষির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার। এতে স্বস্তি পেয়েছেন কৃষিকর্তারা। কিন্তু চাষির সংখ্যা এক লক্ষ ৪০ হাজার ৭৮৮ বাড়লেও জমির পরিমাণ বেড়েছে ২,৯৮৭ হেক্টর।
‘সারা ভারত কৃষকসভা’-র বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক যদুনাথ রায় বলেন, “শস্যবিমার আওতায় প্রায় দেড় লক্ষের কাছাকাছি চাষি বাড়লেও চাষ জমি বেড়েছে নগন্য। দু’টি তথ্যের মধ্যে সাযুজ্য নেই। আনুপাতিক হারে দেখতে গেলে চাষি পিছু দেড়- দু’কাঠার বেশি জমি নেই। এত ক্ষুদ্র চাষি জেলায় তো বিশেষ দেখাই যায় না!’’
বাঁকুড়ার উপকৃষি অধিকর্তা দেবকুমার সরকার বলেন, “শস্যবিমায় এ বার বেশি সংখ্যক চাষিদের নিয়ে আসতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল। তাতেই সাফল্য মিলেছে। চাষিদের কাছে যেমন পরিমাণ জমি রয়েছে, সেই তথ্যই ‘আপলোড’ করা হয়েছে।” তিনি জানান, জেলার কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় থাকা প্রতিটি চাষিই এ বার বিমার আওতায় এসেছেন।
ঘটনা হল, খরিফ মরসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টির ফলে জেলায় আদৌ কতটা ধান চাষ করা যাবে তা নিয়েই সংশয় দানা বেঁধেছিল। পরে ভাল বৃষ্টি হওয়ায় চাষও ভাল হয়। তবে একের পর এক নিম্নচাপ, ডিভিসির জল ছাড়ায় দামোদরে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র প্রভাবে জেলায় বহু ধান জমির ক্ষতি হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, কেবল দানার প্রভাবেই জেলায় প্রায় ১৩,৭৭০ হেক্টর ধান জমির ক্ষতি হয়। এর পরেও অসময়ের বৃষ্টিতে জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যদিও সেই ক্ষতিপূরণ এখনও চাষিরা পাননি।
কৃষকসভার দাবি, বিমার আওতায় থাকা ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সংগঠনের জেলা সম্পাদক যদুনাথ বলেন, “কেবল বিমার তথ্যে চাষির সংখ্যা বাড়ানোই এই প্রকল্পের লক্ষ নয়, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা যাতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পায় সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি জানান, প্রতিটি অঞ্চলে অঞ্চলে গিয়ে সংগঠনের তরফে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে ক্ষতিপূরণের দাবি সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপকৃষি অধিকর্তার আশ্বাস, “জেলার ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তথ্য রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। রাজ্য সেই তথ্য সমীক্ষা করে বাস্তব পরিস্থিতির পর্যালোচনা করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy