শুধু রোপন নয়, গাছ রক্ষণাবেক্ষণেও যত্নশীল হতে হবে বন দফতরকে। পুরুলিয়ার বনমহোৎসব অনুষ্ঠানে এই পরামর্শ দিলেন মন্ত্রী ও সভাধিপতি। বৃহস্পতিবার দুপুরে পাড়ার কমিনিউটি হলে বনমহোৎসবের অনুষ্ঠান হয়। ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, জেলাপরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো, মুখ্য বনপাল দেবল রায়-সহ জেলার বন দফতরের কর্তারা। অনুষ্ঠানে শান্তিরামবাবু বলেন, ‘‘পুরুলিয়ায় জনঘনত্ব বেড়েছে। কিন্তু সেই হারে জঙ্গলের পরিমাণ বাড়েনি। বন দফতরকে দেখতে হবে যে গাছ লাগানো হচ্ছে সেই গাছ যাতে সুরক্ষিত থাকে।” এ বছর জেলায় এক লক্ষ আশি হাজার গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত বনদফতর নিয়েছে বলে জানান শান্তিরামবাবু। এরপরেই তাঁর সংযোজন, ‘‘এ বছর যত সংখ্যক গাছ লাগানো হবে তার অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ গাছ যাতে ঠিক ভাবে বেড়ে ওঠে এবং সেগুলি সুরক্ষিত থাতে তা বন দফতরকে দেখতে হবে।”
এ দিন সৃষ্টিধরবাবু বলেন, ‘‘বন দফতর বলছে জেলায় জঙ্গলের পরিমাণ বেড়েছে। কিন্তু বাস্তবে ছবিটা ভিন্ন। জঙ্গল নষ্ট হচ্ছে।” বন দফতরের কর্মীদের একাংশ নিজ দায়িত্ব পালন করেন না বলেই জেলায় গাছ কেটে অবৈধ কাঠের কারবার বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন সভাধিপতি। তবে দফতরের কর্মীদের একাংশের মতে, বন সুরক্ষা কমিটির সদস্য সংখ্যা বেড়েছে। নজরদারির জন্য গাছ কেটে অবৈধ কাঠের ব্যবসায় অনেকটাই রাশ টানা সম্ভব হয়েছে। জেলা বন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রয়োজনের তুলনায় কর্মীর সংখ্যা কম হওয়ায় হয়তো সর্বত্র যে ভাবে নজরদারি করা প্রয়োজন, তা সব সময় হয় না। কিন্তু জেলায় লুকিয়ে চুরিয়ে গাছ কাটার ঘটনা কমেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে জঙ্গলের পরিমাণও।’’
বন মহোৎসব উপলক্ষে বাঁকুড়ার তিলাবেদিয়ায় বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানের আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কন্যাশ্রী প্রকল্পের ছাত্রীরা বৃক্ষরোপন করেন। বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয় অনুষ্ঠানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy