অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনা জারি বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র
গত শুক্রবার রাত থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছাত্রদের ধরনা শুরু হয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে। তার পর থেকে কয়েকটি দিন কেটে গেলেও, অচলাবস্থা কাটেনি বিশ্বভারতীতে। বরং পুলিশের কাছে বিদ্যুৎ এবং পড়ুয়াদের ইমেল এবং পাল্টা ইমেলে সংঘাতের বাতাবরণ আরও তীব্র হয়েছে। এই আবহে আন্দোলনকারী ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানো বার্তা দিয়েছে বহু ছাত্র সংগঠন।
গত ২৭ অগস্ট শুক্রবার রাত থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবন পূর্বিতার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই তিন বহিষ্কৃত পড়ুয়া— সোমনাথ সৌ, ফাল্গুনী পান এবং রূপা চক্রবর্তী। মঙ্গলবার সেই অবস্থান বিক্ষোভ পঞ্চম দিনে পড়েছে। এই সময়ে দু’পক্ষের টানাপড়েন আরও তীব্র হয়েছে। পাশাপাশি বিক্ষোভকারী ছাত্রদের সমর্থনের পাল্লাও ভারী হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্যান্যরা। সংহতির বার্তা দিয়েছে বিশ্বভারতীর ‘মেলার মাঠ বাঁচাও কমিটি’। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মঙ্গলবার বিশ্বভারতী চত্বরে মিছিল করে এসএফআই। বুধবার মিছিল করার কথা ছাত্র পরিষদের। আবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিনিধিরাও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের টানাপড়েনে তেতে উঠেছে পরিস্থিতি। এর মধ্যেই কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়ে জানিয়েছে, ভর্তি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল প্রকাশও অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্য বিদ্যুৎ এবং রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতোর বিরুদ্ধে ইমেল মারফত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্র। আবার নিরাপত্তা চেয়ে ওই থানাতেই ইমেল করেছেন উপাচার্যও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy