Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

সোনাঝুরির লজ-হোটেলে ফের তালা দিল রূপপুর পঞ্চায়েত

ওই এলাকায় বসবাস করা তিন বাড়ির মালিক এবং আরও দুটি নির্মীয়মাণ হোটেলেকেও সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। রুপপুর পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান রণেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, “হোটেল চালানোর জন্য বৈধ কাগজপত্র না থাকায়, সোনাঝুরি এলাকার বাকি চার হোটেলে তালা দেওয়া হয়েছে।

বন্ধ: তালা ঝোলানো হল সোনাঝুরির আরও হোটেলে। নিজস্ব চিত্র

বন্ধ: তালা ঝোলানো হল সোনাঝুরির আরও হোটেলে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৭ ০২:১৪
Share: Save:

বৈধ কাগজপত্র ছাড়া, সোনাঝুরি এলাকায় হোটেলে চালানোর অভিযোগে, শনিবার ফের চারটি হোটেলে তালা দিল রূপপুর পঞ্চায়েত।

শুধু তাই নয়, ওই এলাকায় বসবাস করা তিন বাড়ির মালিক এবং আরও দুটি নির্মীয়মাণ হোটেলেকেও সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। রুপপুর পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান রণেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, “হোটেল চালানোর জন্য বৈধ কাগজপত্র না থাকায়, সোনাঝুরি এলাকার বাকি চার হোটেলে তালা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই এলাকায় বসবাসকারী তিন বাড়ি মালিক এবং দুটি নির্মীয়মাণ হোটেলকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।”

তাঁর দাবি, তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। বৈধ কাগজপত্র থাকলে কারও কোনও সমস্যা হবে না। না থাকলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে, এ দিন উপ-প্রধানের নেতৃত্বে পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা ওই এলাকায় যান। ওই এলাকার চার হোটেলের মালিকের সঙ্গে কথা বলেন। ওই সকল হোটেলে ওঠা অতিথিদের সঙ্গেও কথা বলে, সমস্যার কথা জানান।

এ দিন কিছু সময় দিয়ে, খালি করার জন্য বল হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার অভিযোগে ওই চার হোটেলে তালা দেয় রূপপুর পঞ্চায়েত। ওই এলাকার একাধিক বসতবাড়িতে, অনেকেই হোটেল ব্যবসা করছেন, এমন অভিযোগও ছিল পঞ্চায়েতের কাছে। এ দিন তিন বাড়ি মালিককে সতর্ক করা হয়। তাঁদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বলেছে পঞ্চায়েত।

উল্লেখ্য, সোনাঝুরি জঙ্গল এবং খোয়াই নষ্ট করে বেআইনি ভাবে কংক্রিটের নির্মাণের অভিযোগ শান্তিনিকেতনে কয়েক দশকের। তা নিয়ে একাধিক মামলায় হয়েছে। এমন একটি মামলার প্রেক্ষিতে, ওই এলাকায় কোন কংক্রিটের নির্মাণ কাজ করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেআইনি ভাবে রাতারাতি একাধিক কংক্রিটের নির্মাণ কাজ হয়েছে।

জমি মাফিয়া এবং অসাধু চক্রের যোগ সাজসে ওই এলাকায় আবার একাধিক সরকারি এবং খাস জমি বেআইনি জবরদখল হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব দফতরের ছাড়পত্র না থাকা এবং সরাই বিধি না মানায় দিন কয়েক আগে ওই এলাকার একটি হোটেল বন্ধ করেন বোলপুরের মহকুমাশাসক। ওই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে স্থানীয় পঞ্চায়েত। প্রাথমিক ভাবে একটি হোটেলে আগেই তালা দিয়েছিল তারা। বাকিদের সতর্ক করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর কথা জানিয়েছিল পঞ্চায়েত। বৈধ কাগজপত্র না থাকার হোটেলে এবং বসত বাড়ি চিহ্নিত হয়েছে দিন কয়েক আগে। এ বার শুরু হল ধাপে ধাপে সোনাঝুরিকে দখলমুক্ত করার অভিযান। বন্ধ এক হোটেল মালিক মধুসূদন সাউ বলেন, ‘‘কিছু ছাড়পত্র রয়েছে। বাকির আবেদন জানিয়েছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Sonajhuri Illegal Business Hotels
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE