—নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও সেন্ট্রাল অফিসে আটকে রয়েছেন তিনি ও বেশ কয়েক জন আধিকারিক। এমনটাই দাবি করলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল।
বিশ্বভারতীতে অচলাবস্থা মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলতেই পারে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যকলাপ আটকে দিয়ে এবং কাউকে আটকে রেখে আন্দোলন চলতে পারে না। আদালতের এই নির্দেশের পরেই রেজিস্ট্রার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, তাঁকে এখনও আটকে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও মেলেনি সহযোগিতা।
আশিস আরও জানান, আন্দোলনরত পড়ুয়াদের একাংশ তাঁকে বাড়ি যেতে দিলেও বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে আর একটি অংশ। সেই কারণেই আবার ভিতরে অর্থাৎ নিজের অফিসে ফিরে আসতে হয়েছে তাঁকে।
যদিও পড়ুয়াদের দাবি, তাঁরা রেজিস্ট্রারকে আটকে রাখেননি। ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরেই আবার নিজের অফিসে ফিরে গিয়েছেন তিনি। সোমনাথ সৌ নামে এক বিক্ষোভকারী ছাত্র বলেন, ‘‘আমরা রেজিস্ট্রারকে আটকে রাখিনি। অফিসের বাইরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছি আমরা। ওঁরা চাইলেই বাড়ি যেতে পারেন।’’ ছাত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষ চক্রান্ত করে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ করছেন। এখানে কেউ পঠন-পাঠন বন্ধ করেনি। উপাচার্যের নির্দেশেই বিশ্বভারতীর আধিকারিক ও কর্মীরা এ দিন সকাল থেকে বিশ্বভারতী সেন্ট্রাল অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সেই কারণেই অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।’’
হস্টেল খোলা, অনলাইনে পরীক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে সোমবার থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাখিল করা রিট পিটিশনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশের পর মনে করা হচ্ছিল, এ বার হয়তো কাটবে অচলবস্থা। কিন্তু এখনও সে রকম কিছু লক্ষ করা গেল না। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন চুপ রয়েছেন, তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy