পাড়ুইয়ের শিমুলিয়ায় উদ্ধার বোমা। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র
গ্রামবাসীর কাছে খবর পেয়ে নানুরের বন্দর গ্রাম থেকে চারটি ড্রামে বোঝাই প্রায় ৯০টি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন ধরে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার করা হচ্ছে। কিন্তু অন্য কোথাও একসঙ্গে এতগুলি বোমার হদিস মেলেনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটের দিন ওই গ্রামে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তিন বিজেপি সমর্থককে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর এবং কর্মীদের জন্য রান্না করা খাবার ফেলে দেওয়ার পাল্টা অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। গত মাসেও পথ অবরোধ ঘিরে দু’পক্ষের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বন্দর, শাকবাহা, পিলখুণ্ডি, পুন্দরা গ্রাম। এক দলীয় কর্মীকে ‘বিনা অপরাধে’ গ্রেফতারের অভিযোগে বন্দর বাসস্ট্যান্ডে নানুর-বাসাপাড়া সড়ক অবরোধ করে বিজেপি। তা নিয়ে প্রচণ্ড ঝামেলা হয়। তার পরেই বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষ বাঁধে। গ্রামে গ্রামে বোমাবাজি, আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে।
সেই ঘটনার রেশ না মেলাতেই বুধবার বন্দর গ্রামের একটি পোল্ট্রির পিছনে তাজা বোমা হদিস পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন।
তৃণমূলের নানুর ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য এ নিয়ে বলেন, ‘‘সন্ত্রাস ছড়িয়ে গ্রাম দখলের জন্যে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই বোমা মজুত করেছিল।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির নানুর মণ্ডল কমিটির সভাপতি বিনয় ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা সন্ত্রাসের রাজনীতি করি না। তা ছাড়া ওই এলাকার বিজেপি সমর্থকেরা তৃণমূলের সন্ত্রাসের ভয়ে গ্রামছাড়া। তাই আমাদের বিরুদ্ধে বোমা মজুতের অভিযোগ খাটে না।’’ পুলিশ জানায়, কারা কী কারণে বোমা মজুত করেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এ দিনই তাজা বোমার হদিস মেলে পাড়ুই থানার শিমুলিয়া গ্রামেও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার পাড়ুই থানার পুলিশের কাছে খবর আসে, শিমুলিয়া গ্রামের প্রান্তে একটি পুকুরের পাশে বোমা লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে যায় পাড়ুই থানার পুলিশ। মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় তিনটি ড্রাম বোঝাই বোমা। এ দিনই বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
পাড়ুই সাংগঠনিক ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মুস্তাক হোসেন বলেন, ‘‘এলাকা অশান্ত করতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা মজুত করে রাখছে। প্রশাসনকে আর্জি জানিয়েছি এলাকায় যেন শান্তি বজায় রাখা হয়।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে পাড়ুই অঞ্চলের বিজেপি নেতা শেখ সামাদ বলেন, ‘‘তৃণমূল বীরভূম জুড়ে বোমার কারখানা তৈরি করে রেখেছে। নিজেরা বোমা মজুত করছে আর বিজেপি কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy