প্রতীকী ছবি।
তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে মঙ্গলবার রাতে উত্তপ্ত হয়েছিল বাঁকুড়ার বড়জোড়ার তাজপুর ও পখন্না। বুধবার নতুন করে কোনও ঝামেলা না হলেও গ্রামের পরিবেশ ছিল থমথমে। অশান্তি এড়াতে এ দিনও ওই দু’টি গ্রামে দিনভর পুলিশ মোতায়েন ছিল।
বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, মঙ্গলবার রাতে প্রথমে তাজপুর গ্রামে তাঁদের অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায় তৃণমূল। তাতে বিজেপির তিন জন কর্মী জখম হন। অন্য দিকে, তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, পখন্নায় তাঁদের কর্মীদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে মারধর করে বিজেপি। তাতে পখন্না পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সুকুমার দাস জখম হন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি।
সুকুমারবাবু এ দিন অভিযোগ করেন, “দলের পার্টি অফিসের সামনে আমরা জনা চারেক কর্মী বসেছিলাম। প্রায় ৫০ জন বিজেপি কর্মী এসে আমাদের ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে। অন্যেরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।’’ যদিও স্থানীয় এক বিজেপি নেতার দাবি, “সুকুমারবাবু নিজে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছেন। আমাদের দলের কেউ মারধর করেনি।’’
তাজপুরে হামলার প্রতিবাদে ওই রাতেই পখন্না এলাকায় বড়জোড়া-সোনামুখী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। রাতেই বাঁকুড়া থেকে প্রচুর পুলিশ কর্মী পখন্না ও তাজপুরে মোতায়েন করা হয়। এ দিন পখন্নায় মিছিল করে তৃণমূল।
তৃণমূলের বড়জোড়া ব্লক সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, “আমরা চাই না, এলাকায় অশান্তি হোক। তাজপুরে বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়নি। সেখানে বিজেপির কিছু কর্মীর সঙ্গে আমাদের কর্মীদের বচসা হয়েছিল মাত্র। আমাদের কর্মীদের কোনও রকম প্ররোচনায় পা না দিতে বলেছি।’’
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি তাপস দাসের অভিযোগ, “তৃণমূলই প্রথম আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। আমাদের কর্মীরা সংযম দেখিয়েছেন। পখন্নায় তৃণমূলের কোনও কর্মীকে আমাদের কর্মীরা মারধর করেনি।” জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “বুধবার পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশ পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy