সুকান্ত মজুমদার। নিজস্ব ছবি।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’ সরকারি আধিকারিকেরাও জড়িত বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের এক বিধায়ক। যা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। এ বার বিডিওর জামার কলার ধরে আবাস যোজনার বাড়ি আদায়ের নিদান দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি, শাসকদলকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত। জানিয়ে দিলেন, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস-তালিকায় যে সব তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে, তাঁদের সকলের থেকে প্রকল্পের টাকা ফেরত নেওয়া হবে। সুকান্তের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসকদলও।
রবিবার পুরুলিয়ার ঝালদায় বিজেপির সভা ছিল। সেই সভামঞ্চ থেকে সুকান্ত বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাড়ি তৈরির টাকা পাঠিয়েছেন। আপনারা ওই ঘর ছাড়বেন না। ওটা আপনাদের হকের ঘর। বিডিওর কলার ধরে হলেও ঘর আমাদের আদায় করতেই হবে। লড়াই করুন। ভারতীয় জনতা পার্টি আপনাদের সঙ্গে আছে। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’’
আবাস যোজনার কাজে কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে দিন দুয়েক আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছে। দলের সদস্যরা বিভিন্ন জেলা ঘুরে ঘুরে উপভোক্তাদের যোগ্যতার বিষয়টি দেখছেন। তাকে ‘রাজনৈতিক সফর’ পাল্টা কটাক্ষ করেছে শাসক শিবির। তার প্রেক্ষিতে সুকান্ত বলেন, ‘‘দু’টি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছে। আরও ১৫টি আসবে। আবাসের ঘর ওষুধের দোকান হয়েছে। সরকার চলছে নাকি ফাজলামো হচ্ছে! সব চোরেদের ধরব আমরা।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমি আর শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি প্রমাণ চেয়েছেন আমাদের কাছে। যে সব তৃণমূল নেতার পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তালিকায় নাম রয়েছে, তাঁদের থেকে কী ভাবে টাকা ফেরত নিতে হয়, তা দেশের চৌকিদার নরেন্দ্র মোদীর ভাল করে জানা আছে।’’
সুকান্তের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘ওরা তো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। মারপিট, গুন্ডাগিরি এ সবেই বিশ্বাস করে। তাই এ সব কথা বলছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ যে তৃণমূলের পক্ষে রায় দিয়েছেন, সেটা ওরা মেনে নিতে পারছে না। আগামী পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পোস্টার হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy