নিজস্ব চিত্র।
চিহ্নিত ‘নো পার্কিং জোন’ থাকলেও নির্দিষ্ট ‘পার্কিং জোন’ নেই। ফলে নো পার্কিং এলাকাতেই বাধ্য হয়ে বাইক ও গাড়ি রাখছেন সাধারণ মানুষ। এটাই সিউড়ি শহরের নিত্যদিনের ঘটনা।
সিউড়ি শহরের একাধিক রাস্তার দু'পাশে জায়গায় জায়গায় লাগানো আছে ‘নো পার্কিং’ স্টিকার। কিন্তু পার্কিং জোন কোথায় কেউ জানে না বলেই দাবি স্থানীয়দের। স্বাভাবিক ভাবেই রাস্তার পাশে একটু জায়গা ফাঁকা থাকলে সেখানে দাঁড় করানো হচ্ছে বাইক, গাড়ি-সহ বিভিন্ন যানবাহন। ফলে সংকীর্ণ হচ্ছে রাস্তা, বাড়ছে যানজট ও দুর্ঘটনা।
এ ব্যাপারে ছোটন মণ্ডল নামে এক বাইক আরোহীর দাবি, “দোকান বা শপিংমলগুলিতেও কোনও পার্কিং জোন নেই। বাধ্য হয়ে রাস্তার উপরেই বাইক দাঁড় করিয়ে জিনিস কিনতে হয় আমাদের। ফলে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এ দিকে যদি দূরে কোথাও বাইক রেখে আসি তাহলে চুরি হয়ে যাবার ভয় রয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, কখনও কখনও রাস্তার উপর বাইক দাঁড় করিয়ে রাখার ফলে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় চাকায়। সিউড়ি শহরের এটা সত্যিই একটা বড় সমস্যা বলে মত ছোটনের। ভাস্কর পাল নামে আর এক বাইকআরোহী বলেন, “শুধু নো পার্কিং জোন আছে কিন্তু পার্কিং জোন নেই। তা হলে আমরা বাইক বা গাড়ি রাখব কোথায়?”
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেসরকারি বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে যাওয়া শহরের প্রধান রাস্তায় সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে বাস। প্রশাসনের ধরপাকড়ে কিছুদিন বন্ধ হলেও ফের নতুন করে এই একই সমস্যা সংকীর্ণ করছে রাস্তা। যানজট বাড়ছে শহরে। অফিস টাইমে এক কিলোমিটার পথ যেতে প্রায়ই ৭-৮ মিনিট সময় লেগে যায় বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে সিউড়ির পৌর প্রশাসক কাজি ফরিজউদ্দিন বলেন, “এটা সিউড়ির দীর্ঘ দিনের সমস্যা। গাড়ি সঠিক ভাবে পার্কিং করার জন্য আমরা মাঝেমধ্যেই মাইকিং করি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy