বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ বিকল্প মেলা উদ্যোক্তাদের। নিজস্ব চিত্র
ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার অনুমতি দেননি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তবে বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের তরফে বিকল্প পৌষমেলার আয়োজন করা হয়েছে এ বার। সেই মেলাতেই বিদ্যুৎকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সৌজন্যের নজির সৃষ্টি করলেন মেলা উদ্যোক্তারা।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সদস্য মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায়, কবিগুরু হস্তশিল্প সমিতির সম্পাদক আমিনুল হুদা-সহ কয়েক জন। তাঁরা আমন্ত্রণপত্র দিয়ে উপাচার্যকে বিকল্প পৌষমেলায় আমন্ত্রণ জানান। তবে উপাচার্য সরাসরি তা নেননি। তাঁর আপ্তসহায়ক সেই আমন্ত্রণপত্র নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মনীষা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা মাননীয় উপাচার্যকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এই মেলা পরম্পরাগত ভাবে শান্তিনিকেতনই আয়োজন করে থাকে। বিশ্বভারতী তার দায়িত্বে থাকে। তবে এ বছর সমস্ত স্তর থেকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিশ্বভারতী মেলা আয়োজন করতে দেয়নি। আমরা মনে করছি, এই মেলা দরকার। এই উৎসবকে সার্থক করতে উপাচার্যকেও আমন্ত্রণ জানালাম। যাতে এই মেলায় কোনও ছেদ না পড়ে। মেলা মানে মিলনক্ষেত্র। তিনি আসুন। সকলে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনিও এসে হাত ধরুন। বিশ্বভারতীর পরম্পরা যাতে চালু থাকে।’’
করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছর পৌষমেলা করেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ বার বোলপুর পুরসভা, কবিগুরু হস্তশিল্প সমিতি এবং বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির শত আবেদন নিবেদন সত্ত্বেও বিশ্বভারতীকে পৌষমেলা না করার সিদ্ধান্ত থেকে টলানো যায়নি। এমনকি, পৌষমেলার অন্যতম আয়োজক শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট মেলা করার ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বললেও বিশ্বভারতী এ নিয়ে একটিও শব্দও খরচ করেনি। গত বারের মতো এ বারও পৌষমেলার আয়োজন না করলেও পৌষ উৎসব উদ্যাপন করবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে শান্তিনিকেতনের ছাতিমতলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy