Advertisement
E-Paper

রাজ্যের গড়কে অতিক্রমের দাবি, সঙ্গী প্রশ্নও

জেলা প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে চলতি অর্থবর্ষে জেলা প্রায় ২৬২ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছিল।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:২৮
Share
Save

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অর্থ খরচে গতি আনতে জেলাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য। অর্থবর্ষ শেষের মুখে ওই প্রকল্পের অর্থ খরচে সার্বিক ভাবে রাজ্যের গড়কে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের প্রতি ক্ষেত্রেই টপকে গিয়েছে বলে দাবি করল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। এই ‘সাফল্যে’ প্রশাসনিক মহলে খুশির হাওয়া বইলেও বাস্তবে কাজ কতটা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

জেলা প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে চলতি অর্থবর্ষে জেলা প্রায় ২৬২ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছিল। শেষ পাওয়া খবরে বরাদ্দের ৮৩.৮২ শতাংশ বা প্রায় ২২০ কোটি ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। সেখানে সামগ্রিক ভাবে রাজ্যে গড় অর্থ খরচের হার ৭৯.২৬ শতাংশ। কাজের গতির নিরিখেও রাজ্যের অন্যতম শীর্ষ জেলাগুলির তালিকায় রয়েছে বাঁকুড়া। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে কাজ করা হয়েছে। তাতেই কাজের গতি বেড়েছে। ওই প্রকল্পে আরও বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া রয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।” প্রশাসনের একটি বিশেষ সূত্রে খবর, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে সদ্য জেলাকে নতুন করে আরও প্রায় ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনসূয়া রায়ের দাবি, “পরিকল্পনা নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সময় নষ্ট করি না। তাতে দ্রুত কাজ শুরু করা যায়। এতেই গতি বাড়ে কাজে।”

যদিও বিরোধীদের দাবি, কাজ হয়েছে শুধু কাগজে-কলমেই। কয়েক মাস আগে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কাজেই বড়জোড়া পঞ্চায়েতে একটি বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। জেলা পরিষদের কাজকে নিজেদের কাজ দেখিয়ে অর্থ কমিশনের টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। যদিও তা অস্বীকার করেন তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। এ দিকে, ওন্দা থেকে নির্বাচিত বাঁকুড়া জেলা পরিষদের একমাত্র বিরোধী সদস্য বিজেপির রূম্পা ধীবরের দাবি, “এক বছর আগে ওন্দা এলাকায় সৌরবিদ্যুৎ-চালিত হাইমাস্ট বাতি ও সাবমার্সিবল পাম্প বসানো, নদীর ভাঙন রোধে গার্ডওয়াল নির্মাণ, স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং যন্ত্র বসানোর কাজের পরিকল্পনা ওই অর্থ কমিশনের আওতায় দিয়েছিলাম। একটিও কাজ হয়নি। হতে পারে কাগজে-কলমে কাজগুলি হয়ে গিয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে। তবে বাস্তব ছবি আলাদা। জেলা জুড়েই এটা হচ্ছে।”

যদিও বিরোধীদের অভিযোগ মানতে চাননি সভাধিপতি। তাঁর দাবি, “রাজনৈতিক স্বার্থে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। এলাকায় ওঁরা যান না বলেই কাজ দেখতে পান না।” আসন্ন নিধানসভা নির্বাচনের আগে কাজে আরও গতি বাড়াতে প্রশাসনিক মহল তৎপর হচ্ছে বলেও জানান সভাধিপতি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

bankura

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}