অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নিখোঁজ। —নিজস্ব চিত্র।
আবার বীরভূমে শিশু অপহরণের অভিযোগ! ১৩ দিন ধরে নিখোঁজ একটি ১৪ বছরের নাবালক। ছেলেটির বাড়ি বীরভূমের নানুর থানার আগোড়তর গ্রামে। পরিবার সূত্রে খবর, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল হক মায়ের সঙ্গে একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিল। তার পর একা বাড়ি ফিরে যায় সে। মায়ের সঙ্গে ফোনে কথাও হয় তার। জানায়, স্নান সেরে ভাত খেতে বসবে। কিন্তু তার পর থেকে ছেলেকে ফোন করে গিয়েছেন মা। ফোন বেজে গিয়েছে। কিন্তু ফোন তোলেনি ছেলে। মা তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরে আসেন। দেখেন চার্জে বসানো রয়েছে মোবাইল। কিন্তু সারা বাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজে কোথাও ছেলেকে পাননি তিনি। এর পর একের পর এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছেলের খোঁজ শুরু করেন মা।
কোথাও ছেলেকে না পেয়ে অবশেষে নানুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দিন ১৩ আগে নানুরে একটি বিয়ে বাড়িতে যান মা-ছেলে। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সেখানে পৌঁছন। তার পরে আশরাফুল একা বাড়ি ফিরে যায়। ফোনে মা ছেলেকে জিজ্ঞাসা করেন বাড়ি পৌঁছেছেন কি না। ছেলে বলে, ‘‘বাড়ি ফিরেছি। স্নান করে ভাত খেতে যাব।’’ এটাই ছেলের সঙ্গে শেষ কথা মায়ের। দুপুর ১টা নাগাদ আবার ছেলেকে ফোন করেন মা। কিন্তু ফোন তোলেনি সে।
বাড়ি ফিরে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসা করে মা জানতে পারেন, আশরাফুল সে দিন বেলা ৩টে নাগাদ পিঠে একটা ব্যাগ নিয়ে বেরোয়। কিন্তু তার পর আর কেউ কোথাও দেখেনি তাকে। পরিবারের অভিযোগ, কেউ বা কারা ভুল বুঝিয়ে ছেলেটিকে অপহরণ করতে পারে। ছেলেটির খোঁজ শুরু করেছে নানুর থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, দু’দিন নিখোঁজের পর শনিবারই সিউড়ির নিখোঁজ বালক নাজিমউদ্দিনকে পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ওই শিশুকে খুঁজে এনে দেন এক মহিলা। পুলিশ সূত্রে খবর, সিউড়ি পাথরচাপুরি এলাকায় একাই ইতস্তত ভাবে ঘোরাঘুরি করছিল নাজিম। তার খোঁজে ড্রোন, পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি করা হয়েছিল। অন্য দিকে, বোলপুরে পাঁচ বছরের শিশু শিবম ঠাকুরকে হত্যার ঘটনার রেশ এখনও মেলায়নি। জেলায় একের পর এক শিশু নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy