এক প্রৌঢ়ের গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হল উঠোন থেকে। শনিবার সকালে বান্দোয়ানের পাহাড়পুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ভবতারণ মান্ডি (৫৫)।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কয়েক জন যুবক ভবতারণবাবুর বাড়িতে এসেছিলেন। রাতে তাঁরা সেখানেই ছিলেন। পড়শিদের একাংশের দাবি, অনেক রাত পর্যন্ত তাঁরা ওই বাড়ি থেকে হইহল্লার আওয়াজ পেয়েছেন। শনিবার সকালে উঠোনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে এক পড়শিই কাঁঠাল গাছের তলায় ভবতারণবাবুর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান।
শনিবার ডেপুটি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) কল্যাণ সিংহরায় ঘটনার তদন্তে গ্রামে যান। তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে সবাই মিলে মদের আসর বসিয়েছিলেন। আপাতত অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু হয়েছে।’’ মদের আসরে বচসা থেকেই ভবতারণবাবুকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশ কর্তাদের একাংশের অনুমান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবতারণবাবুর দুই ছেলের কেউই শুক্রবার বাড়িতে ছিলেন না। ওই প্রৌঢ়ের জামাই পরিমল মুর্মু শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। তবে তিনি আসরের ধারে কাছে জাননি বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। পরিমলবাবুই শনিবার বান্দোয়ান থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে তাঁর শ্বশুরকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই যুবকেরা ভবতারণবাবুর ছোট ছেলের খোঁজে এসেছিলেন। পুলিশের অনুমান, তাঁরা ভবতারণবাবুর পূর্বপরিচিত ছিলেন বলেই সেই রাতে সেখানে থেকে যান। তবে ঠিক কী কারণে খুন করা হল ওই প্রৌঢ়কে তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy