—ফাইল চিত্র
এক দিকে সাধারণ ধর্মঘট, অন্য দিকে জেলার ছটি পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের মিছিল। জোড়া কারণে জেলার রাস্তায় দেখাই গেল না বেসরকারি বাস। সরকারি বাস চললেও করোনা সংক্রমণ রুখতে তোলা হয়নি বেশি যাত্রীকে। ফলে বাসের জন্য কেউ ঠায় অপেক্ষা করেছেন, কেউ দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও যানবাহন না পেয়ে বেশি কড়ি খসিয়ে গাড়ি ভাড়া করে রওনা দিয়েছেন গন্তব্যে।
এ দিন জেলার নানা প্রান্ত ঘুরে দেখা গিয়েছে, বাসের অভাবে দুর্ভোগে পড়া নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে। কেউ দীর্ঘ সময় বাসের জন্য অপেক্ষা করেছেন, কেউ বাধ্য হয়ে মোটরচালিত ভ্যানে চেপেই রওনা হয়েছেন গন্তব্যে। বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ছিল এমনই ছবি।
ধর্মঘটের পাশাপাশি এ দিন সিউড়ি, বোলপুর, রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর সহ ছটি পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের ডাকে মিছিল হয়। সেই মিছিলে লোক জমায়েত করতেও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ’খানেক-এর উপরে বাস, বড় ও ছোট গাড়ি ভাড়া করা হয়। তাতে দুর্ভোগ বাড়ে। এ দিন সকালে বোলপুর বাসস্ট্যান্ডে বাস ধরতে কয়েক জন যাত্রী উপস্থিত হলেও, বেসরকারি বাস না চালায় দীর্ঘ অপেক্ষার পরে তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। বোলপুরেরই বাসিন্দা হাবিব শেখ বর্ধমানে যাওয়ার উদ্দেশে বাসস্ট্যান্ডে এসেছিলেন। কিন্তু, বাস না পেয়ে গাড়ি ভাড়া করে গন্তব্যে যেতে হয়। নানুরের বাসিন্দা সোমনাথ দাস বোলপুরে কাজে এসেছিলেন। তিনিও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছেন বোলপুর বাসস্ট্যান্ডে। ওঁরা বলছেন, ‘‘ভেবেছিলাম ধর্মঘট হলেও বাস নিশ্চয়ই থাকবে। তা না থাকায় চরম সমস্যার পড়তে হল।”
বীরভূম ডিস্ট্রিক্ট বাস, মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুজিত মণ্ডল বলেন, “ধর্মঘটের দিনে কোথাও বাসে হামলা হলে আমরা কোনও রকম ক্ষতিপূরণ পাই না। সেই কারণে রাস্তায় বাস নামাইনি।’’ তিনি জানাচ্ছেন, তৃণমূলের মিছিলের জন্যও জেলার প্রতিটি জায়গা থেকে বেশ কিছু বাস নেওয়া হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy