Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Vegetable Black market

দাম বাড়ায় কালোবাজারি নেই, দাবি জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের

ডিইবি আধিকারিকেরা জানান, অন্য বছর এই সময়ে আনাজের দাম যা থাকে, তার তুলনায় এখন প্রায় সমস্ত আনাজের দামই কিছুটা বেশি আছে।

সিউড়ির পাইকারি বাজারে এনফোর্সমেন্টের ব্রাঞ্চের আধিকারিকেরা।

সিউড়ির পাইকারি বাজারে এনফোর্সমেন্টের ব্রাঞ্চের আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪৫
Share: Save:

মাসখানেক ধরেই বাজারে আনাজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বেড়েছে আদা, আলু, পেঁয়াজের দামও। এ ভাবে দাম বাড়ায় সমস্যায় পড়ছেন ক্রেতারা। এই দাম বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে রবিবার সকালে হঠাৎই সিউড়ির একাধিক আনাজ ও ফলের বাজারে হানা দিলেন জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়পক্ষের সঙ্গেই মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলেন তাঁরা৷ কোথাও কোনও অবৈধ মজুতদারি হচ্ছে কি না অথবা অসাধু উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে কি না— তাও খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ডিইবি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বাজারে অসাধু উপায় অবলম্বনের উদাহরণ পাওয়া যায়নি তবে বিক্রেতাদের এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

এ দিন সকাল থেকেই বাজার পরিদর্শনে যান আধিকারিকেরা। প্রথমে জাতীয় সড়ক ঘেঁষা আনাজের গুদামঘরে যান তাঁরা৷ সেখানে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত আনাজ মজুত করা আছে কি না খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এর পরে এসপি মোড় ও কোর্ট বাজারের হানা দেন তাঁরা। তাঁরা জানান, সিউড়িতে এ দিন ভিন্ন ভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, টোম্যাটো ১০০-১৩০ টাকা কেজি, আলু ২৮-৩২ টাকা কেজি ও কাঁচা লঙ্কা ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

ডিইবি আধিকারিকেরা জানান, অন্য বছর এই সময়ে আনাজের দাম যা থাকে, তার তুলনায় এখন প্রায় সমস্ত আনাজের দামই কিছুটা বেশি আছে। তবে এর পিছনে কালোবাজারি। জোগান কম থাকার কারণেই এই মূল্যবৃদ্ধি বলে জানান তাঁরা। সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া এবং তার ফলে ফলন কম হওয়ার কারণেই জোগান কমেছে বলেও জানান তাঁরা।

সিউড়ি টিনবাজার এলাকার এক আনাজ বিক্রেতা শেখ সামু, অজয় আঢ্যরা বলেন, “সকালে আনাজের বাজার দর জানতে বেশ কয়েক জন আধিকারিক এসেছিলেন। প্রধানত পেঁয়াজ, আদা, আলু আর মরসুমি আনাজের দাম জিজ্ঞেস করেছেন তারা। পাইকারি বাজার থেকে আমরা কত দামে কিনছি এবং খুচরো বাজারে কত দামে বিক্রি করছি সে বিষয়েও জানতে চান। বাজার দরের থেকে যাতে বেশি দামে জিনিস বিক্রি না করি, সেই বিষয়েও সতর্ক করেছেন তাঁরা। আমরাও জানিয়েছি, দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনও হাত নেই। উল্টে দাম বাড়লে বিক্রি তুলনামূলক কমে যায়, তাতে আমাদেরই লোকসান।”

এ দিন বাজার করতে আসা এক ক্রেতা রুমা দে, মিঠু মুখোপাধ্যায়েরা বলেন, “প্রায় সমস্ত আনাজেরই দাম আগের থেকে বেড়েছে। কেউ কেউ একটু বেশি দামও নিচ্ছেন। আমাদেরও বাধ্য হয়েই বেশি দামে আনাজ কিনতে হচ্ছে। এই ধরনের পরিদর্শন মাঝে মাঝে হলে নিশ্চয়ই দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।”

জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিএসপি স্বপনকুমার চক্রবর্তী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আনাজের দাম বেশি থাকলে অনেক ক্ষেত্রে কালোবাজারির একটা আশঙ্কা থাকে। তেমন কোনও ঘটনা এখন ঘটছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই এই পরিদর্শন। আগামী দিনেও এই পরিদর্শন চলবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Suri Enforcement Branch
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE