অনুব্রত মণ্ডল এবং নরেশ বাউড়ি। —ফাইল চিত্র।
বীরভূমে তৃণমূলের অন্দরে বিতর্ক অব্যাহত। এ বার তৃণমূলের বোলপুর টাউন সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নেতা নরেশ বাউড়িকে।
গত কয়েক দিনে বীরভূম জেলা তৃণমূলের অন্দরে একের পর এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘অস্বস্তি’তে নেতৃত্ব। দুবরাজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক নরেশকে বোলপুর টাউন সভাপতির পদ থেক সরিয়ে দেওয়া ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
বীরভূম জেলা রাজনীতিতে তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের ‘দ্বন্দ্ব’ সুবিদিত। অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে (পড়ুন গ্রেফতারির পর) কাজলের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে শাসকদলে। এ বার অনুব্রতের কাছের নেতা বলে পরিচিত নরেশকে সরিয়ে বোলপুর টাউনের সভাপতি করা হল মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরাকে।
নরেশ বরাবরই ‘অনুব্রতপন্থী’। বস্তুত, অনুব্রতের হাত ধরেই তাঁর তৃণমূলে আসা। তাঁর বিধায়ক হওয়ার নেপথ্যেও অনুব্রতের হাত ছিল বলে মনে করা হয়। সেই নরেশকে সভাপতির পদ থেকে সরানোর পর বীরভূম জেলা রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, যে চন্দ্রনাথ আগে অনুব্রতের ‘নির্দেশে’ দলের কাজকর্ম করতেন, তাঁকে কি এ বার গ্রেফতার হওয়া নেতার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? যদিও বোলপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ এমনটা স্বীকার করেননি। তাঁর দাবি, ‘‘নরেশ বাউড়ি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তিনি নিজেই আবেদন করেছিলেন। তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়নি। নরেশকে অন্য পদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।’’
যদিও ওই মন্তব্যের পরে একেবারে উল্টো সুর স্বয়ং নরেশের গলায়। তিনি দাবি করেছেন, শারীরিক ভাবে তিনি যথেষ্ট সক্ষম। তিনি অসুস্থও নন। তবে দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা তিনি মেনে চলবেন। বস্তুত, লোকসভা ভোটের আগে বীরভূম জেলা তৃণমূলের অন্দরে বার বার এই রাজনৈতিক পদবদল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy