গন্তব্যে: বোলপুরের রূপপুরে আটকে পড়া ঝাড়খণ্ডের শ্রমিকদের ফেরানো হচ্ছে সরকারি বাসে। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে বোলপুরের রূপপুরে কাজে আসা ২৫০ শ্রমিককে সাতটি বাসে চাপিয়ে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করল প্রশাসন। একই ভাবে, নলহাটিতে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া শ্রমিকদেরও বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়। রবিবার সকালে এঁদের সকলকেই দূরত্ব বজায় রেখে বাসের সিটে বসিয়ে বাড়ির উদ্দেশে পাঠানো হয়।
শুক্রবার বিকেলে নলহাটি ব্রাহ্মণী রেলসেতুর কাছে কুড়ি জন পরিযায়ী শ্রমিককে রেললাইন দিয়ে হাঁটতে দেখে চালক ট্রেন থামিয়ে দেন। ফলে ঔরঙ্গাবাদের মতো ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা মেলে। প্রাণে বাঁচেন ওই শ্রমিকেরা। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই শ্রমিকদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে নলহাটি ১ ব্লকের পাশে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছিল। পরে রেললাইন ধরে হেঁটে আসা আরও কিছু শ্রমিককে আরপিএফ প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। ঝাড়খণ্ডের ৪৩ জন ও মালদহের তিন জন শ্রমিককে বাসে করে তাঁদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এ দিন তাঁদের হাতে পুস্পস্তবক, জলের বোতল, ঠান্ডা পানীয়, বিস্কুট ছাড়াও শুকনো খাবার তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁদের গায়ে ফুল ছড়িয়ে যাত্রার সূচনা করা হয়। ‘শুভযাত্রা’ কামনা করে একটি পোস্টার নিয়ে এক জনকে দাঁড়িয়েও থাকতে দেখা যায়। বিডিও (নলহাটি ১) জগদীশচন্দ্র বাড়ুই বলেন, ‘‘জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের তৎপরতায় আমরা শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পেরেছি।’’
অন্য দিকে, ঝাড়খণ্ড থেকে ডিসেম্বর মাসে বোলপুরে এসেছিলেন প্রায় ২৫০ জন পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের রূপপুর অঞ্চলের পাঁচটি ইটভাটার কাজ করতেন। সেখানেই থাকতেন। মার্চ মাসের শেষের দিকে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনে আটকে পড়েন। মাঝে এক বার কিছু জন নিজেদের উদ্যোগে গাড়ি ভাড়া করে ফেরার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমানায় পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এর পরে তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।
রবিবার তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে বাসে তুলে দেওয়া হয়। কিছু শুকনো খাবারও সঙ্গে দেওয়া হয়। শ্রমিকদের মধ্যে লালবাবু আনসারী, রাজেন মিয়া, সেলিম আনসারীরা বলেন, ‘‘বাড়ি ফিরতে পেরে সত্যিই আনন্দ হচ্ছে।’’ অন্য দিকে, বোলপুরের বাহিরি গ্রামে সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে ১৪ দিন থাকার পরে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকার ৩৪ জন বাসিন্দাকেও এ দিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে একটি সরকারি বাসে ঝাড়খণ্ডে পৌঁছে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy