বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারাপীঠে মানুষের মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ মিছিল । নিজস্ব চিত্র।
ভুল অস্ত্রোপচারে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যার মৃত্যুর অভিযোগ তুলে হাঁসনের চিকিৎসক বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ই-মেল করল তারাপীঠ মন্দির কমিটি। মৃত ওই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তারাময় মুখোপাধ্যায় তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি। যে নার্সিং হোমে তারাময়ের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে, সেটি তৃণমূল বিধায়ক অশোকের।
বুধবার গভীর রাতে করা ওই ই-মেলের প্রতিলিপি রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, বীরভূমের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার, মহকুমাশাসক (রামপুরহাট), মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, রামপুরহাট থানার আইসি এবং তারাপীঠ থানার ওসি-কে পাঠানো হয়েছে তারাপীঠ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে মেল করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত হবে বলে পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন। মহকুমাশাসক সৌরভ পাণ্ডেও অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
তারাপীঠের মন্দিরের সামনে চিকিৎসকের ‘শাস্তি’ চেয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তারাময়-সহ সেবায়েতদের একাংশ। ওই মৃত্যুর ঘটনা প্রতিবাদে এবং বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারাপীঠে মোমবাতি মিছিল করেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। চিকিৎসক বিধায়ক অবশ্য গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘‘এক জন চিকিৎসক হিসাবে যতটুকু পরিষেবা দেওয়ার, তা পুরোটাই দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব জানতে চাইলে যেখানে দেওয়ার, সেখানে দেব।’’
তারাময়ের অভিযোগ, গত সোমবার দুপুরে অশোকের নার্সিং হোমে ভুল চিকিৎসার ফলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রীর। বুধবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি। তবে, মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি। মন্দির কমিটির দাবি, রোগীর বাড়ির অধিকাংশ সদস্য উপস্থিত না-থাকায় চিকিৎসকের কথা মেনেই রোগীকে ময়নাতদন্ত না-করে দাহ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে তারাময়ের দাবি, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ২১ ডিসেম্বর তাঁরা অশোক চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন। পরামর্শ মতো স্ত্রীকে তাঁরই নার্সিংহোমে সোমবার সকালে ভর্তি করান। অস্ত্রোপচার করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে নার্সিং হোমের তরফ থেকে অস্ত্রোপচার সফল বলে জানানো হয়। তারাময় বলেন, ‘‘কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারি স্ত্রীর অবস্থা খারাপ। বেশ কিছুক্ষণ পরে চিকিৎসক জানান, স্ত্রী মারা গিয়েছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।’’
ই-মেলে তারাময়ের অভিযোগ, ঠিকঠাক চিকিৎসা না-করার জন্যই এই ঘটনা। উপযুক্ত তদন্ত করে নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে দলের জেলা চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।’’
বিধায়কের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রোগিণীকে নার্সিং হোমে আনা হয়েছিল। অপারেশন টেবিলে ওঠানোর পরে হার্ট অ্যাটাক হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তিও করা হয়। সেখানেও হার্ট অ্যাটাক হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy