মিলিয়ে দেখা। পুরুলিয়া জেলা স্কুলে। ছবি: সুজিত মাহাতো
কোথাও সময় এগিয়ে এনে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মার্কশিট তুলে দেওয়া হল। কোথাও আবার সময় ভাগ করে শিক্ষকদের মার্কশিট বিলি করা হল। অভিভাবকদের মধ্যে মার্কশিট বিতরণের সময়ে ভিড় কমাতে স্কুলের অনেক ঘর খুলে দেওয়া হল। তবে নানা সমস্যায় কিছু স্কুল বুধবার মার্কশিট বিলি করতে পারেনি। জানিয়ে দিয়েছে, কাল, শুক্রবার স্কুল থেকে মার্কশিট দেওয়া হবে।
বুধবার পুরুলিয়া জেলা স্কুল থেকে পুরুলিয়া সদর, মানবাজার ও ঝালদা মহকুমার ২৫৬টি স্কুলের প্রতিনিধিদের হাতে মার্কশিট দেওয়া হয়। রঘুনাথপুর মহকুমার ৯৯টি স্কুলের মার্কশিট বিলি করা হয় রঘুনাথপুর জি ডি ল্যাং ইনস্টিটিউট থেকে। বাঁকুড়া জেলার তিনটি মহকুমা সদর থেকে মার্কশিট দেওয়া হয়।
ভিড় এড়াতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল?
পুরুলিয়া জেলা মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালন কমিটির আহ্বায়ক সত্যকিঙ্কর মাহাতো জানান, গত এক সপ্তাহে পুরুলিয়া শহরে বেশ কয়ে জন করোনা-আক্রান্তের খবর মেলায় ভিড় এড়াতে তাঁরা দু’ঘণ্টা আগে থেকে মার্কশিট বিলি শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘‘পর্ষদের অনুমতি নিয়ে সকাল ১০টার বদলে আটটা থেকে মার্কশিট বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সে কথা স্কুলগুলিকে নিয়ে তৈরি করা ‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ’-এ জানিয়ে দিই। ফলে, ভিড় হয়নি।’’
তুলিন জয়সিয়ারাম হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক হেমন্তকুমার মাহাতো বলেন, ‘‘ফাঁকা ফাঁকায় মার্কশিট পেয়েছি।’’ আড়শার বোড়াম হাইস্কুলের প্রতিনিধি চক্রধর মাহাতো, বরাবাজারের জিলিং হাইস্কুলের প্রতিনিধি নির্মলকুমার হাঁসদা, হুড়ার কালিয়াবাসা হাইস্কুলের প্রতিনিধি আদিত্য মাহাতো প্রমুখ বলেন, ‘‘ভিড় হবে বলে আশঙ্কা ছিল। তবে বিলি করার সময়ে ভিড় অনেক কম থাকায় স্বস্তি পেয়েছি।’’
বাঁকুড়ায় আবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কিছু স্কুলকে এবং দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাকি স্কুলগুলিকে মার্কশিট দেওয়া হয়। ফলে সেখানেও ভিড় নিয়ে বিশেষ অভিযোগ শোনা যায়নি।
মার্কশিট বিলি করতেও অনেক স্কুল সতর্কতা নিয়েছিল। পুরুলিয়া চিত্তরঞ্জন বয়েজ হাইস্কুলের সহকারী প্রধানশিক্ষক বিবেকবাণী হাজরা বলেন, ‘‘আমরা একাধিক ক্লাসঘর থেকে অভিভাবকদের মার্কশিট বিলির ব্যবস্থা করেছিলাম। অভিভাবকদের হাতে স্যানিটাইজ়ার দিয়ে ক্লাসঘরের ভিতরে ঢোকা ও নির্দিষ্ট দূরত্বে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’’ পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা কৃষ্ণা সাহা, রঘুনাথপুর মেট্যালসহর হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক বিবেকানন্দ চক্রবর্তী, আদ্রা নিগমনগর হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক সুকুমার চক্রবর্তীরা জানান, স্বাস্থ্য-বিধি মেনে অভিভাবকদের মার্কশিট দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি গৌতম দাসের দাবি, “এ দিনই জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মার্কশিট দেওয়া হয়েছে।” এবিটিএ-র বাঁকুড়া জেলা সহ-সম্পাদক আশিস পান্ডে বলেন, “বিলি করার সময়ে স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার।’’
কিছু স্কুল অবশ্য এ দিন মার্কশিট বিলি করতে পারেনি। বাঁকুড়ার মগরা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মুকেশ পাত্র বলেন, “আমরা ছাত্রদের মার্কশিট ‘বাংলা শিক্ষা’ পোর্টালে ‘আপলোড’ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তাই এ দিন মার্কশিট বিলি করা যায়নি। শুক্রবার তা দেব।’’
পুরুলিয়া জেলার বলরামপুর লালিমতী গার্লস হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষিকা মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুক্রবার ২৫০ জন অভিভাবককে রোল নম্বর ধরে সকাল ৮টা থেকে ধাপে ধাপে ডেকে মার্কশিট দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
পুরুলিয়া শান্তময়ী গার্লস হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষিকা ইন্দ্রাণী পাল বলেন, ‘‘তিনশোর বেশি ছাত্রীর মার্কশিট দিতে হবে। স্কুলের ‘ফেসবুক পেজ’-এ আমরা রোল নম্বর ধরে জানিয়ে দিয়েছি, কবে অভিভাবকেরা মার্কশিট সংগ্রহ করবেন।’’ হুড়া হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক পিন্টু দের কথায়, ‘‘একাধিক ক্লাসঘর থেকে দূরত্ব-বিধি মেনে আগামী শুক্রবার মার্কশিট দেওয়া হবে বলে পরীক্ষার্থীদের জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy