উদ্ধারের পরে। নিজস্ব চিত্র
সিপিআই (মাওবাদী)-এর নাম লেখা পোস্টার মিলল বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের দেওয়ালে। সোমবার সকালে ওই পোস্টার দেখে স্থানীয় মানুষ পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে সেগুলি উদ্ধার করে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘‘তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, আদৌ ওই পোস্টার মাওবাদীদের, না অন্য কেউ দিয়েছে। জঙ্গলমহলের উপরে কড়া নজরদারি রয়েছে। কোনও মাওবাদী কার্যকলাপ আমাদের চোখে পড়েনি।’’
তৃণমূলের বাঁকুড়া সংসদীয় জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যালের অভিযোগ, ‘‘মাওবাদীদের ব্যাপারই নয়, এটা বিজেপির কাজ। এ সব করে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে ওরা।’’ যদিও বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের বক্তব্য, ‘‘মাওবাদী আছে কি না জানি না। তবে বিরোধীদের মাওবাদী বলে দাগানো তৃণমূলের পুরনো অভ্যাস। মাওবাদীরা একটা সময়ে কাদের সঙ্গে ছিল সেটা মানুষের মনে আছে।’’
এ দিন উদ্ধার হওয়া পোস্টারগুলির কোনওটিতে রয়েছে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের গণআদালত বসিয়ে বিচার’-এর হুমকি। কোনওটিতে অবৈধ বালি খাদান বন্ধ করার দাবি। কোনওটিতে চিটফান্ড কাণ্ডে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি। একটি পোস্টারে বিজেপিকে ‘সাবধান’ করে এনআরসির (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) বিরোধিতা করা হয়েছে। সাদা কাগজে লেখা সব ক’টি পোস্টারের নীচে লাল অক্ষরে লেখা আছে— সিপিআই (মাওবাদী)। সারেঙ্গার ব্লক তৃণমূল সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘২০১১ সালের সরকার পরিবর্তনের পরে, এলাকায় মাওবাদীদের কোনও কার্যকলাপ চোখে পড়েনি। তা ছাড়া, সরকার পরিবর্তনের পরে, অনেকেই সমাজের মূল স্রোতে ফিরে চাকরি করছেন। কে বা কারা এই পোস্টার দিল তা তদন্ত করে দেখা জরুরি।’’ বিষয়টি যাতে যথাযথ তদন্ত করে দেখা হয়, সেই দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতা বিবেকানন্দবাবুও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy