শুক্রাবাদ গ্রাম থেকে রামপুর যাওয়ার পথে। নিজস্ব চিত্র
বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। সোমবার অঙ্ক পরীক্ষা দিয়ে একটি গাড়িতে নলহাটি থানার রামপুর গ্রামে ফিরছিল ১১ জন পরীক্ষার্থী। শুক্রাবাদ গ্রাম থেকে রামপুর গ্রামের যাওয়ার পথে বাঁক ঘুরতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে
গাড়িটি উল্টে রাস্তার পাশে চাষজমিতে গিয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন পরীক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন। গাড়ির চালক আলি হাসান মোল্লার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
হুগলির পোলবায় একবড় কাণ্ডের পরেও যে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে চালকদের যত্ন এতটুকু বাড়েনি, এ দিনের ঘটনায় আবার সেটাই প্রমাণ হল বলে মনে করছেন অভিভাবকেরা। ক’দিন আগেই স্কুলবাসের পাটাতন ভেঙে রাস্তায় পড়ে যায় মুরারইয়ের এক শিশু। ভাগ্যক্রমে সে প্রাণে বাঁচে। এর পরেই সিউড়িতে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি পৌঁছনোর সময় স্কুলের গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি লরি। এ বার দুর্ঘটনায় পড়ল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ দিন গাড়িটি যথেষ্ট দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। রাস্তার বাঁক ঘোরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জমিতে উল্টে যায়। গাড়ির ভিতর থেকে কোনও পরীক্ষার্থী বের হতে পারছিল না। স্থানীয় বাসিন্দারা কষ্ট করেই দরজা খুলে সকলকে উদ্ধার করেন। গ্রামে খবর দেওয়া হলে গ্রাম থেকে টোটো ও অন্যান্য গাড়ি করে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষার্থী রবিউল মণ্ডল, জুয়েল শেখ বলে, ‘‘আমরা রামপুর হাইস্কুলের ছাত্র। আমাদের পরীক্ষাকেন্দ্র লোহাপুর এমআরএম মেমোরিয়াল হাইস্কুল। সে জন্যই আমরা গাড়ি ভাড়া করেছিলাম। গ্রামে ঢোকার আগে রাস্তার বাঁকে ব্রেক না কষে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয় চালক। এর ফলেই দুর্ঘটনা ঘটে।’’ আর এক পরীক্ষার্থী আলামিন মণ্ডলের কথায়, ‘‘আমাদের ভাগ্য ভাল যে, জমিতে চাষের জন্য জল দেওয়া হয়েছিল। মাটি ভেজা থাকায় দুর্ঘটনায় ক্ষতি কম হয়েছে।’’
মহম্মদ মদিন নামে এক পরীক্ষার্থী গাড়ি সামনে বসেছিল। তার মাথায় ও মুখে আঘাত বেশি লেগেছে। পরীক্ষার্থীরা জানায়, সকলেরই কমবেশি চোট লেগেছে। আজ, মঙ্গলবার ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষা। ব্যথার ওষুধ খেয়ে তারা বাড়ি ফিরেছে। তাদের বক্তব্য, চালক একটি সাবধানে গাড়ি চালালে এই দুর্ঘটনা ঘটত না।
এক জন পরীক্ষার্থীর অবিভাবক নুরে আলম বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে পুলকার দুর্ঘটনা ঘটছে। যদিও এটি পুলকার নয়। তবে, ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার সময় যে কোনও গাড়ির চালককেই অনেক সাবধানে গাড়ি চালাতে হয়। তা হলেই এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।’’ অভিভাবকদের বক্তব্য, বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত। অল্পের জন্য সকলে রক্ষা পেয়েছে। তা ছাড়া, পরীক্ষার মধ্যেই এমন ঘটনায় ওই ছাত্রেরা এখনও ভয়ে আছে। ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বছর একুশের এক যুবক। অভিভাবকদের ক্ষোভ, গাড়ির মালিকদেরও বুঝেশুনে চালকের হাতে গাড়ির স্টিয়ারিং দেওয়া উচিত। যে কাউকে গাড়ি চালাতে দেওয়া ঠিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy