Advertisement
২১ জানুয়ারি ২০২৫

সভার সংখ্যায় এগিয়ে তৃণমূল, জানাচ্ছে অ্যাপ

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর প্রচার, জনসভা আয়োজনের অনুমতি নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সুবিধা অ্যাপ তৈরি করেছে।

‘সুবিধা’ অ্যাপ-এ অনুমতি নিয়ে জেলার ১১টি বিধানসভা এলাকায় জনসভা, পথসভা, মিছিল ইত্যাদি মিলিয়ে ৩৭২টি কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। ছবি: এএফপি।

‘সুবিধা’ অ্যাপ-এ অনুমতি নিয়ে জেলার ১১টি বিধানসভা এলাকায় জনসভা, পথসভা, মিছিল ইত্যাদি মিলিয়ে ৩৭২টি কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। ছবি: এএফপি।

দয়াল সেনগুপ্ত
শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:১৮
Share: Save:

দেওয়াল লিখনে তো বটেই। দলের প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা, পথসভা, র‌্যালিতেও শাসকদলের তুলনায় জেলায় ঢের পিছিয়ে প্রতিপক্ষ বাম, বিজেপি। জেলা নির্বাচনী দফতরের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকে ‘সুবিধা’ অ্যাপ-এ অনুমতি নিয়ে জেলার ১১টি বিধানসভা এলাকায় জনসভা, পথসভা, মিছিল ইত্যাদি মিলিয়ে ৩৭২টি কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। সেখানে বামেদের আয়োজিত প্রচার কর্মসূচির সংখ্যা ৬৫। আর প্রধান প্রতিপক্ষ বলে দাবি করা বিজেপি সেখানে ৩২ এ থমকে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর প্রচার, জনসভা আয়োজনের অনুমতি নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সুবিধা অ্যাপ তৈরি করেছে। কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগেও ‘সুবিধা’ অ্যাপ চালু করা হয়েছিল। এ বার সেটা আরও ব্যাপক ভাবে চালু হয়েছে। জেলা নির্বাচনী দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সর্বোচ্চ ১২০ ঘণ্টা সর্বনিম্ন ৪৮ ঘণ্টা আগে বাড়িতে বা অফিসে বসে স্মার্টফোন থেকেই অনুমতির জন্য এই অ্যাপে আর্জি জানানো যায়। আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মেলে প্রয়োজনীয় ‘নির্দেশ’। ফলে সভা বা প্রচারের জন্য স্থানীয় থানায় আলাদা করে অনুমতি নেওয়ার দরকার পড়ে না।

তবে জনসভা বা সভা আয়োজনের সময় জমির মালিকের অনুমতি পত্র দিতে হয়। পথসভা করার জন্য জমির মালিকের অনুমতি পত্রের প্রয়োজন নেই। অন্য দিকে, র‌্যালি করলে রুটচার্ট দিতে হবে। মাইক ও গাড়ি ব্যবহার করলে সেটাও জানাতে হবে। তবে অনুমতি পাওয়া বা আবেদন করার তেমন কোনও হ্যাপা নেই। সুবিধা অ্যাপ ব্যবহার করে অনুমতি পেতে কোনও সমস্যা হচ্ছে, এমন অভিযোগ বিরোধী দলেরও নেই। প্রশ্নটা হল, তার পরও কেন পিছিয়ে বিরোধীরা?

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা বলছেন, ‘‘শাসকদলের তুলনায় প্রচার কর্মসূচি কিছু কম হতে পারে। তবে আমরাও জোরকদমে সভা মিছিল করছি। সব থেকে জোর দেওয়া হয়েছে বাড়ি বাড়ি প্রচারে। যেটা করার জন্য ‘সুবিধা’-য় আবেদন করতে হচ্ছে না। কিন্তু, মানুষের কাছে নিজেদের কথা পৌঁছতে কোনও সমস্যা নেই।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলছেন, ‘‘আমরা সুবিধা অ্যাপ ব্যবহার করে অনুমতি নেওয়া শুরু করেছি দিন কয়েক আগে থেকে। তার আগে ইন্ডোর মিটিং করেছি। বাড়ি বাড়ি প্রচারও চলছে। সংখ্যায় এ পর্যন্ত পিছিয়ে থাকলেও আগামী দিনে শাসকদলকে টক্কর দেবে বিজেপি।’’

জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলছেন, ‘‘এ আর নতুন কী! বিরোধীদের সঙ্গে মানুষ থাকলে তো ওঁরা সভা, পথসভা র‌্যালি করবে। আমরা সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকি। বছরভর নানা কর্মসূচিও নেওয়া হয়।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 লোকসভা ভোট ২০১৯ TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy