Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

রেজাউলের মনোনয়ন বৈধ, জানাল প্রশাসন

রেজাউলের মনোনয়নে বৈধতা দিতে কোনও সমস্যা নেই, কমিশন থেকে বৃহস্পতিবার সকালে সবুজ সঙ্কেত মিলতেই খুশির হাওয়া সিপিএম শিবিরে। 

অর্পণ: জেলাশাসকের হাতে মনোনয়নপত্র রেজাউল করিমের। নিজস্ব চিত্র

অর্পণ: জেলাশাসকের হাতে মনোনয়নপত্র রেজাউল করিমের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৩৪
Share: Save:

বীরভূম কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী রেজাউল করিমের মনোনয়ন বৈধতা পেল। আদালতের নির্দেশে রেজাউল করিমের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছাড়পত্র মিললেও, শিক্ষকচিকিৎসক পদে তাঁর ইস্তফা নিয়ে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের অবস্থান স্পষ্ট ছিল না। তাই বিকল্প পথ খোলা রাখতে মঙ্গলবার বীরভূম লোকসভা আসনে ‘ডামি’ প্রার্থী দাঁড় করায় সিপিএম। দলের প্রতীকেই মনোনয়ন জমা দেন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক মতিউর রহমান। সিপিএম জানিয়েছে, জেলা নির্বাচনী আধিকারিক মৌমিতা গোদারা বসু বৃহস্পতিবার রেজাউল করিমের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করার পরেই মতিউর তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তবে সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দিনভর তাদের আশঙ্কায় ভুগতে হয়েছে। মনোনয়নের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য বুধবার নির্দিষ্ট ছিল। কিন্তু, বাকি সকলের মনোনয়ন যাচাই সম্পন্ন হলেও শুধুমাত্র রেজাউলের মনোনয়নে একটি বিষয়ে ‘ধন্দ’ থাকায় জেলা নির্বাচনী দফতর সেটি নির্বাচন কমিশন কমিশনে পাঠিয়ে দেয়। রেজাউলের মনোনয়নে বৈধতা দিতে কোনও সমস্যা নেই, কমিশন থেকে বৃহস্পতিবার সকালে সবুজ সঙ্কেত মিলতেই খুশির হাওয়া সিপিএম শিবিরে।

কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক রেজাউল করিম। লোকসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু রাজ্য সরকার তাঁর ইস্তফা গ্রহণ না-করায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদলত নির্বাচনে লড়ার ছাড়পত্র দিলেও ইস্তফা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। দোলাচল ছিল সেটাকে ঘিরেই। শেষবেলায় রেজাউলের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোনও কারণে আটকে যেতে পারে— এই আশঙ্কা থেকেই ‘ডামি’ প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল সিপিএম। দলের নেতাদের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল মনোনয়ন যাচাইয়ে বিলম্বও।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা বলেন, ‘‘কেউ ইস্তফা দিতে চাইলে সরকার জোর করে ইস্তফা আটকে রাখতে পারে না। সেটা যে সরকার করছে, তাদের উপর ভরসা করা যায় না। আমরা রেজাউলের আদালতের রায় নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমাদের জয় হয়েছে।’’

রেজাউল বলছেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, এই আস্থা ছিল। সেটাই হয়েছে। মাঝে তিন-চার দিন দোটানায় প্রচারটা মার খেয়েছে। এ বার আরও জোর কদমে প্রচার করব।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE