বিকনা পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে গ্রামবাসীর বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। স্থানীয় পঞ্চায়েতে একাধিকবার রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু কাজ শুরু হয়নি। কয়েক সপ্তাহ আগে গ্রামের পুকুরে জাল ফেলতেই উঠে আসে ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দের উল্লেখ করা বোর্ড। যা দেখে চমকে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই ঘটনার পরে গ্রামের রাস্তা সারাইয়ের নামে অর্থ তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বুধবার বাঁকুড়া ২ ব্লকের বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মানুষজন। শেষে পঞ্চয়েত প্রধান শীঘ্রই ওই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করবেন বলে আশ্বাস দেওয়ায় বিক্ষোভ থামে।
বিক্ষোভকারীরা জানাচ্ছেন, বিকনা গ্রামের নামোপাড়া থেকে লাগারডাং পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন মেরামত করা হয়নি। বর্ষায় ওই রাস্তার হাল আরও খারাপ হয়েছে। ছোট গাড়ি, এমনকি টোটোও ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না বলে অভিযোগ।
লাগারডাং-এর বাসিন্দা হারু কর্মকার, বচন মালেরা জানান, দু’সপ্তাহ আগে এলাকার বিকনা বাঁধে মাছ ধরতে গিয়ে একটি বোর্ড পাওয়া যায়। তাতে নামোপাড়া থেকে লাগারডাং পর্যন্ত রাস্তাটি মেরামতির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে বলে
উল্লেখ রয়েছে।
তাঁদের দাবি, বোর্ডে লেখা ছিল রাস্তাটির জন্য প্রায় ২ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাস্তাটি মোরাম দিয়ে তৈরি করার কথা ছিল। বোর্ডটি উদ্ধার হওয়ার পরেই গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধে। সপ্তাহখানেক আগে ওই বোর্ড নিয়ে তাঁরা বিকনা গ্রামপঞ্চায়েতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, সে দিন পঞ্চায়েত প্রধান মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। কিন্তু সময়মতো সেই কাজ শুরু না হওয়ায় এ দিন ফের গ্রামবাসী পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের মুখে পড়ে প্রধান ‘লিখিত ভাবে’ তাঁদের সাত দিনের মধ্যে কাজ করার আশ্বাস দেন।
হারুবাবুরা বলেন, “দীর্ঘ ন’বছর ধরে এই ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছি আমরা। অথচ গ্রামের এই রাস্তা মেরামতের জন্য গত অর্থবর্ষে প্রকল্প নেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে জানতাম না। সেই প্রকল্পের কথা লেখা বোর্ড পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়ায় আমরা সবাই অবাক।” তাঁদের দাবি, দ্রুত কাজ শুরু করা হোক।
এ দিন বারবার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান কার্তিকচন্দ্র মাল। তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘দ্রুত কাজ শুরু করব।’’ ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, “গত অর্থবর্ষেই রাস্তাটি মেরামত করার প্রকল্প নেওয়া হয়। টেন্ডার ডেকে একটি সংস্থাকে কাজের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। কাজের ওয়ার্ক-অর্ডার পর্যন্ত দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই সংস্থা কাজ শুরু করেনি।”
তিনি জানান, ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে শীঘ্রই কাজ শুরুর নির্দেশ পঞ্চায়েতের তরফে এ দিন দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy