প্রতীকী ছবি
সরকারি নির্দেশ মেনে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার বেশ কিছু পর্যটনস্থলে হোটেল ও লজের দরজা খুলেছে। তবে অধিকাংশ জায়গাতেই সোমবার কেউ থাকতে আসেননি। মালিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎসাহী কিছু পর্যটক পরিস্থিতি জানতে ফোন করেছিলেন। তবে ‘বুকিং’ বিশেষ হয়নি।
এ দিন বিষ্ণুপুর টুরিস্ট লজে সমস্ত কর্মী হাজির ছিলেন। সকাল থেকেই পর্যটকদের অপেক্ষা শুরু হয়। প্রবেশ পথে ‘স্যানিটাইজ়ার’ ও ‘থার্মাল গান’ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন এক কর্মী। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও, কোনও পর্যটকের দেখা মেলেনি।
বিষ্ণুপুর টুরিস্ট লজের ম্যানেজার দীনেশ হালদার বলেন, “ভেবেছিলাম, দু’-এক জন অতিথি নিশ্চয় আসবেন। কিন্তু প্রথম দিনটা পর্যটকশূন্য রইল।’’
বিষ্ণুপুরের রাধেশ্যাম, মদনমোহন, মদনগোপাল, মল্লেশ্বর ও রাধাবিনোদের সংরক্ষিত মন্দির সোমবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে যে সব মন্দিরে বিগ্রহ আছে, শুধু সেগুলিই খোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের সংরক্ষণ আধিকারিক রোহিত কুমার। তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য-বিধি মেনেই মন্দিরে বিগ্রহ দর্শন করা যাবে। সামাজিক দূরত্ব রক্ষার জন্য প্রতিটি মন্দিরের সামনে গণ্ডী কেটে দেওয়া হয়েছে।’’
তবে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ রাসমঞ্চ বা শ্যামরাই মন্দির, কালাচাঁদ মন্দির, জোড়বাংলা মন্দির বন্ধই থাকছে বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। বিষ্ণুপুর শহরের বাসিন্দা বাবলু মণ্ডল বলেন, “লকডাউনে বিগ্রহ দর্শন করতে পারিনি। তাই মন্দির খুলতেই এসেছি। তবে সংরক্ষিত মন্দিরগুলিতে বাইরের পর্যটকেরাই বেশি ভিড় করেন। তাঁরা এখনই কতটা আসবেন, সেটা অনিশ্চিত।’’
বিষ্ণুপুরের অধিকাংশ বেসরকারি হোটেল এবং লজ় এ দিন বন্ধ ছিল বলে মালিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে।
বাঁকুড়ার জয়পুরের একটি বেসরকারি রিসর্টের মালিক মহাদেব মণ্ডল বলেন, “আমরা স্বাস্থ্য-বিধি মেনেই রিসর্ট খুলেছি। প্রায় তিন মাস পরে কর্মীরা কাজে যোগ দিতে পেরে খুশি। সকাল থেকেই প্রচুর ফোন আসছে। আশা করি, পর্যটকের অভাব হবে না।’’ তাঁর আশা, কয়েকমাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
‘মুকুটমণিপুর হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক সুদীপ সাহু জানান, সোমবার সেখানে কোনও পর্যটক আসেননি। তবে ফোন এসেছে। তিনি বলেন, ‘‘রবিবার বনগাঁ থেকে একটি দল ফোন করেছিল। কী পরিস্থিতি জানতে চাইছিল।’’ আর একটি লজের মালিক সঞ্জীব দত্ত জানান, রবিবার তিনি ফোন পেয়েছেন নদিয়া থেকে।
পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের উপরে একটি হোটেল রয়েছে রোহিত লাটার। তিনি জানান, সোমবার হোটেল না খুললেও তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ফিরিয়ে আনা হচ্ছে কর্মীদের। বুকিংও চালু হবে। পাহাড়ের নীচে বাঘমুণ্ডি ঢোকার মুখে হোটেল রয়েছে ক্ষীতীশ মাঝির। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বুধবার থেকে খুলব। তবে এখনও কোনও বুকিং হয়নি।’’
পুরুলিয়া শহরে বিভিন্ন কাজে এসে হোটেল এবং লজ়গুলিতে ওঠেন অনেকে। এ দিন তেমন কয়েকজন এসেছেন। বি টি সরকার রোডের একটি হোটেলের ম্যানেজার অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য জানান, সেখানে দু’জন আবাসিক এসে উঠেছেন। দেশবন্ধু রোডের একটি হোটেলেও দু’জন এসেছেন বলে জানান ম্যানেজার রাহুল অগ্রবাল।
রঘুনাথপুর শহরের অধিকাংশ লজই সোমবার খোলেনি। লজ মালিকদের দাবি, কী ধরনের সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি প্রশাসন। একটি লজের মালিক গৌতম দত্ত বলেন, ‘‘লজ খোলার কথা এখনই আমরা ভাবছি না।”
ঝালদা বাসস্ট্যান্ড থেকে স্টেশন যাওয়ার রাস্তার পাশে একটি লজ রয়েছে। সেটির মালিক জানান, জীবাণুমুক্ত করে লজ চালু হয়েছে। সোমবার এক জন এসেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy