উচ্ছেদের বিরুদ্ধে রামপুরহাট শহরে মিছিল। মিছিলের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ব্যবসায়ী। নিজস্ব চিত্র।
শহরের ভিতরে সরকারি জায়গা দখল করে থাকা স্থায়ী নির্মাণ আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে নিজেরাই সরিয়ে নেবেন ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। সোমবার রামপুরহাট মহকুমাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ফুটপাত ব্যবসায়ীরা যাতে স্থায়ী নির্মাণ না করে নিজেদের জায়গায় ব্যবসা করতে পারেন, সে জন্য পুরসভা ও প্রশাসন সহযোগিতা করবে।’’
এ দিন দুপুর বারোটায় মহকুমাশাসকের প্রশাসনিক ভবনে বৈঠকে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের যৌথ মঞ্চের কোর কমিটির ৬ সদস্য যোগ দেন। ছিলেন বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরপ্রধান সৌমেন ভকত, রামপুরহাট থানার আইসি। ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠক শেষে মহকুমাশাসক সৌরভ পাণ্ডে জানান, শহরের মধ্যে যে সমস্ত সরকারি জায়গায় অবৈধ নির্মাণ করে ফুটপাত ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছিলেন সেই সমস্ত নির্মাণ ১০ জুলাইয়ের মধ্যে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই সরিয়ে নেওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। এ ব্যাপারে আগামী ৩ জুলাই থেকে ৫ তারিখের মধ্যে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের মহকুমাশাসকের কাছে রিপোর্ট করতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে তিন দিন ধরে আন্দোলনে রামপুরহাট শহর ফুটপাত ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদ বিরোধিতায় যৌথ মঞ্চ গড়ে তোলেন। যৌথ মঞ্চে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের ফুটপাত ব্যবসায়ীদের নিয়ে ৩৫ সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়। সোমবার সকালেও ফুটপাত ব্যবসায়ীরা শহরের পাঁচমাথা মোড়ে জড়ো হন। আন্দোলন চলাকালীনই বিক্ষোভরত ফুটপাত ব্যবসায়ীদের বৈঠকে বসার জন্য বার্তা পাঠান মহকুমাশাসক।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে ব্যবসায়ীরা আপাতত তাঁদের জায়গায় কোনও স্থায়ী নির্মাণ ছাড়া অস্থায়ী ভাবে ব্যবসা করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে শহরের নিকাশি নালার বাইরে বসে তাদেরকে ব্যবসা করতে হবে। পরে পুরসভা এবং প্রশাসনের উদ্যোগে হকার্স জোন তৈরি হলে সেখানে ফুটপাত ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারবেন বলে মহকুমাশাসক জানান। হকার্স জোনের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র যারা শহরের ফুটপাত ব্যবসায়ী তাঁরাই ব্যবসা করার সুযোগ পাবেন। বাইরের কেউ ব্যবসা করতে পারবেন না বলে মহকুমাশাসক জানান। প্রশাসনের বক্তব্য, ভাঁড়শালাপাড়ায় রাস্তার ধারের দোকানিদের সেখানকার ভিতরের বাজারে বসে ব্যবসা করতে হবে।
ফুটপাত উচ্ছেদ বিরোধী যৌথ মঞ্চের কোর কমিটির সদস্য শাহাজাদা হোসেন কিনু, সঞ্জীব মল্লিক বলেন, ‘‘গরিব ও ক্ষুদ্র ফুটপাত ব্যবসায়ী উচ্ছেদের অমানবিক সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে পারছি না। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য সরকারকে চিন্তা ভাবনা করার কথা বলব। এক মাসের মধ্যে হকার্স জোন সরকার গড়ে না দিলে ফুটপাত ব্যবসায়ী যৌথ মঞ্চ আবার আন্দোলন করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy