পরপর তিন হামলা। ১৫ জনের মৃত্যু। জখম ৫০। প্রথম হামলা আমেরিকার নিউ অরলিন্স শহরে। ভিড়ের মধ্যে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে একাধিক মানুষকে পিষে দেয় ঘাতক। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে গুলি। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। খতম হয় আততায়ী। নিউ অরলিন্সের বার্বন স্ট্রিটের এই ঘটনা বছরের শুরুতেই সন্ত্রাসের আতঙ্ক ফিরিয়ে দেয়। ট্রাক নিয়ে হামলা করে ঘাতক। উদ্ধার হয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেটসের পতাকা। পাওয়া যায় বন্দুক এবং বিস্ফোরক। তদন্তে নেমে মার্কিন সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন জানতে পেরেছে ঘাতকের নাম শামসুদ-দিন-জব্বর। অভিযুক্ত শামসুদ-দিন-জব্বর ২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আমেরিকার সেনাবাহিনীতে কাজও করেছে।
নিউ অরলিন্সের হামলার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ফের হামলা। লাস ভেগাসে ট্রাম্প টাওয়ারের কাছে টেসলা সাইবার গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা। ব্যাটারি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা কিংবা যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেনি। গাড়িতে বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ ছিল। আর তা দিয়েই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেন টেসলা-কর্তা কর্ণধার ইলন মাস্ক। জানা গিয়েছে, ফোর্ড কোম্পানির যে ট্রাক দিয়ে নিউ অরলিন্সে হামলা এবং লাস ভেগাসে টেসলার যে সাইবারট্রাকে বিস্ফোরণ করা হয়েছে, দুটিই টুরো অ্যাপ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়। এই সূত্র ধরেই নিউ অরলিন্সে ঘটনার সঙ্গে লাস ভেগাসের গাড়ি বিস্ফোরণের যোগ খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা।
তৃতীয় ঘটনা ২ জানুয়ারি নিউইয়র্কের কুইনস নামের একটি পানশালায়। পানশালার বাইরে হঠাৎ অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে ৩ থেকে ৪ ব্যক্তি। দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের উপর কম করে ৩০ রাউন্ড গুলি করা হয় বলে অনুমান পুলিশের। প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই পালিয়ে যায় আততীয়ারা। ২০২৫ সালের প্রথম ২৭ ঘণ্টার মধ্যেই গোলাগুলি, জখম এবং খুনের মতো ঘটনা। চিন্তিত আমেরিকা। ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের দেশের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy