ইলামবাজারে গোপালনগরে গত বিধানসভা নির্বাচনে নিহত বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের বাবা প্রার্থী গৌরাঙ্গ সরকার ছেলের শহীদ বেদির সামনে বসে ভোটের কাজে ব্যস্ত শনিবার। ছবিঃ বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
গত বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন ইলামবাজারের গোপালনগর এলাকায় ঝরেছিল রক্ত। প্রাণ হারিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার। নিহত ছেলের শহিদ বেদির সামনে বসেই শনিবার ভোট করালেন গৌরবের বাবা, গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী গৌরাঙ্গ সরকার। ‘ভয়’ উপেক্ষা করে ভোটে অংশ নিলেন গ্রামবাসীরাও।
গৌরবের মৃত্যুর পরে কেটে গিয়েছে দু’বছর। সন্তান হারানোর ক্ষত এখনও টাটকা গৌরাঙ্গের মনে। পরিবারের দাবি, খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত প্রকৃত দোষীরা এখনও পর্যন্ত সাজা পাননি। বিজেপি-র দাবি, শাসকদলের ‘অত্যাচার’ থেকে গ্রামকে বাঁচাতে এবং ‘অন্যায়ের’ জবাব দিতেই গোপালনগর ১৩৭ নম্বর বুথের গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে প্রার্থী করা হয়েছে গৌরবের বাবাকে।
এ দিন গ্রামে গিয়ে দেখা গেল মৃত ছেলের শহিদ বেদি আঁকড়ে বসে রয়েছে গৌরাঙ্গ। তাঁর কথায়, “এক নির্বাচনে অন্যায় ভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছিল। তার যোগ্য জবাব দিতেই নির্বাচনে দাঁড়ানো। জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’’ এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, সন্ত্রাসের ভয় ছিল ঠিকই। তবু, তাঁরা সাহসে ভর করে এ দিন ভোট দিয়েছেন। গ্রামের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপস্থিতি ভোটারদের মনোবল বাড়িয়েছে বলেও বিজেপির দাবি।
স্থানীয় বাসিন্দা অঞ্জলি ঘোষ, বালি সোরেনরা বলেন, “এক নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন এই গ্রাম দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। গ্রামের ছেলের প্রাণও চলে যায়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভয় নিয়েই ভোট দিলাম। তবে, ভোট দিতে পেরে সত্যিই ভালো লাগছে।” বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, “গত নির্বাচনে গৌরাঙ্গ সরকার তাঁর তরতাজা ছেলেকে হারিয়েছেন। সেই জ্বালা, যন্ত্রণা থেকেই ভোটে লড়াই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy