শান্তিনিকেতনের আদিত্যপুর এলাকা থেকে কোপাই নদীর পাড় কেটে মাটি চুরির অভিযোগ। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
বীরভূমে বালি পাচারের অভিযোগ নতুন নয়। কিছুদিন আগেই সেই অভিযোগ ঘিরে মুখ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে পড়তে হয় জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের। তারপর থেকেই লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। তা সত্ত্বেও জেলার কিছু অংশে এখনও চোরাগোপ্তা ভাবে বালি লুট চলছে, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবার মাটি লুটও বলে অভিযোগ।
বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আদিত্যপুর এলাকায় কোপাই নদীর পাড় কেটে রাতের অন্ধকারে দেদার মাটি লুট চলছে বলে অভিযোগ। বুধবার এ নিয়ে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা চান নদীর পাড় থেকে মাটি লুট বন্ধ হোক, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ফিরে আসুক। বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, জেলার বিভিন্ন জায়গায় নানা সময়ে কোথাও বালি চুরি, কোথাও মাটি চুরির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে এই রমরমা কারবার দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এর আগে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি এলাকায় মাটি লুটের অভিযোগ উঠেছিল। মাসখানেক আগে কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শিবরামপুর এলাকায় থেকেও নম্বরহীন ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অবৈধ মাটির গাড়ি আটক করে। কিন্তু তারপরেও বেআইনি মাটি উত্তোলন বন্ধ হয়নি। আদিত্যপুর এলাকাজুড়ে কোপাই নদীর পাড় থেকে রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে সেখানে ট্রাক্টর নামিয়ে মাটি লুট চলছে বলে দাবি। এ দিন সেখানে গিয়ে দেখা গেল, কোপাই নদীর পাড় সম্প্রতি কাটা হয়েছে তার চিহ্নও স্পষ্ট। বিষয়টি নিয়ে এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা হারাধন বাগদি, গোবিন্দ বাগদি দাবি, মাটির এই অবাধ চুরি বন্ধ না হলে তাঁদের একদিন বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাঁরা চান, অবিলম্বে এই মাটির চুরি বন্ধ হোক। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। তিনি বলেন, “রাজ্য জুড়েই লুটের রাজত্ব। প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, প্রশাসনিক সহযোগিতাতেই এই কাজ চলছে বলে আমি মনে করি। অবিলম্বে নদীর পাড় থেকে মাটি লুট বন্ধ না হলে আগামী দিনে নদীর অস্তিত্বই থাকবে না।”
মহকুমাশাসক (বোলপুর) অয়ন নাথ বলেন, “বিষয়টি আমার কানে এসেছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy