ফিরহাদ হাকিম পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী।
ফের জেলায় আসছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আগামী ১৫ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার বিরসা মুণ্ডার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সরকারি অনুষ্ঠানে থাকার কথা তাঁর। আজ, সোমবারই তিনি বোলপুর পৌঁছবেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। কিন্তু নিছকই সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিতি, না কি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে জেলায় বারবার এসে দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ফিরহাদ অন্য কিছু বার্তা দিতে চাইছেন তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে, তৃণমূলের অন্দরেও।
তৃণমূল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ফিরহাদ সরকারি অনুষ্ঠানে থাকবেন। তারপর তাঁর তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করার সম্ভবনা রয়েছে। তবে আদৌও তিনি রাজনৈতিক বৈঠক করবেন কি না তা স্পষ্ট করতে পারেননি শাসক দলের জেলার নেতারা। কিন্তু ফিরহাদের বারবার জেলায় আসা নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, কেষ্টহীন বীরভূমে যাতে দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া না দেয়, সে জন্যই ফিরহাদ বারবার আসছেন। গত সপ্তাহে এসেও ফিরহাদ বলেছিলেন, এক সময় তিনি তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে বীরভূমে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন। ফিরহাদ সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘‘এই জেলায় দশ বছর পর্যবেক্ষক ছিলাম। সংগঠন চোখের সামনে হতে দেখেছি।’’ সে কারণেই ফিরহাদকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে অনেকের মত।
ঘটনা হল, অনুব্রত তথা কেষ্টর অনুপস্থিতিতে তৃণমূলের জেলা স্তরের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে কি না সেই চর্চা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আসানসোলের আদালত চত্বরে দলীয় নেতা-কর্মীদের ‘গ্রুপবাজি’ না করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খোদ অনুব্রত। তার মাঝে 'চাঁদু বিকাশের' কথা শুনে চলার জন্যও বার্তা দিয়েছেন কেষ্ট। এরপর থেকে দ্বন্দ্ব নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, কেষ্ট যতদিন জেলায় ছিলেন ততদিন রাজ্য নেতাদের সেই অর্থে জেলায় আসার প্রয়োজন পড়েনি। তৃণমূলের অন্দরের খবর, যাঁরাই এই জেলায় এসেছেন তাঁরা অনুব্রতের উপর ভরসা করে এসেছেন। জেলায় দলের সব রকম সিদ্ধান্ত এক প্রকার অনুব্রত একাই নিতেন বলেও দলীয় সূত্রে খবর। সে ক্ষেত্রে রাজ্য স্তরের নেতারাও এই জেলা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতেন না বলে কর্মীদের।
সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রতর গ্রেফতারির পরেই সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক সমীকরণে বদল ঘটেছে। কেষ্টর পরে জেলা তৃণমূলের পরবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত কে হবেন সেই নিয়েই চর্চা চলছে। নিচুতলার কর্মীদের মধ্যেও তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। এই পরিস্থিতিতেই বারবার এই জেলায় এসেছেন ফিরহাদ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেষ্টহীন জেলায় দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সবাইকে সংগঠিত করতেই ফিরহাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতা বারবার জেলায় আসছেন। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘একটি সরকারি অনুষ্ঠান রয়েছে সেখানে তিনি আসছেন।’’ দ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর সংযোজন, ‘‘কোনও দ্বন্দ্ব নেই। এ সব বিরোধীরা অহেতুক চর্চা করছে। অনুব্রত মণ্ডল থাকাকালীনও তিনি জেলায় এসেছেন। তিনি এই জেলাকে ভালবাসেন। পাথরচাপুড়ি আসা পছন্দ করেন। সংগঠন দেখতে ভালবাসেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy