পুকুর সংস্কারকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল। আর তার জেরে খুড়তুতো ভাইয়ের গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে এই ঘটনায় উত্তেজনা বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার শাহানা রঘুনাথপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ায়। উত্তেজিত স্থানীয়েরা অভিযুক্তের বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ বাহিনী।
দক্ষিণপাড়ায় পাঁচ শরিকের একটি পুকুর রয়েছে। সম্প্রতি শরিকেরা সিদ্ধান্ত নেন পুকুরটি সংস্কার করার। রবিবার পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু কাজ শুরুর আগে বেঁকে বসেন ফরিদুর রহমান ভুঁইয়া নামে এক শরিক। এই ঘটনা নিয়ে প্রথমে ফরিদুরের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁরই তুতো ভাই হাসিবুল রহমান ভুঁইয়ার। কিছু ক্ষণের মধ্যে বচসা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। অভিযোগ, ফরিদুর নিজের দোকানে অবৈধ ভাবে মজুত করা পেট্রল নিয়ে এসে হাসিবুলের শরীরে ছিটিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেন। গুরুতর জখম হন হাসিবুর। স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করে কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
তুতো ভাইকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে ফরিদুরের বিরুদ্ধে তেতে ওঠে গোটা গ্রাম। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁর দোকান ও বাড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশবাহিনী। কিছু ক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে আপাতত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রাজু খান বলেন, ‘‘পুকুর সংস্কারের ব্যাপারে পাঁচ শরিকেরই মত ছিল। পরে ফরিদুর মতবদল করে সংস্কারে বাধা দেন। সেখান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। ফরিদুর নিজের দোকানের পেট্রল এনে খুড়তুতো ভাই হাসিবুরকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন। এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে ওঁর বাড়ি, দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে।’’ গন্ডগোলের খবর পৌঁছেছে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারির কানে। তিনি বলেন, ‘‘গন্ডগোলের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। মূল অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।’’