ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীদের পেতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে এ রাজ্যের বাসিন্দা এক সিআরপিএফ জওয়ানের। জখম হয়েছেন আরও এক জন। মৃত সিআরপিএফের সাব-ইনস্পেক্টর সুনীলকুমার মণ্ডলের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানা এলাকায়। জখম হেড কনস্টেবল পার্থপ্রতিম দে বাঁকুড়া শহরের রাজগ্রামের বাসিন্দা।
শনিবার ঝাড়খণ্ডের ছোটানাগরা থানার বনগ্রাম মারাংপেঙা এলাকায় মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল সিআরপিএফের একটি বাহিনী। তল্লাশির সময় বেলা আড়াইটে থেকে ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ মারাংপেঙা জঙ্গলে বিস্ফোরণ হয়। গুরুতর জখম হন সিআরপিএফের কয়েক জন জওয়ান। হেলিকপ্টারে করে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রাঁচীর হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় সিআরপিএফের সাব-ইনস্পেক্টর সুনীলের।
সিআরপিএফের ১৯৩ ব্যাটেলিয়নের এসআই সুনীলের মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছেছে তাঁর বাড়িতে। রবিবার জওয়ানের দেহ নিয়ে আসা হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানান, গান স্যালুট দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে সুনীলকে।
আহত পার্থ রাঁচীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার পার্থের বাড়িতে তাঁর আহত হওয়ার খবর পৌঁছেছে। তার পর থেকে উদ্বেগ, উৎকন্ঠায় রয়েছে ওই সিআরপিএফ কর্মীর পরিবার। পার্থের স্ত্রী পিয়ালী দে বলেন, ‘‘শনিবার টেলিফোনে ঘটনার কথা জানতে পারি। স্বামীর এক সহকর্মী জানিয়েছেন, ওঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। রবিবার হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের কথা।’’
ঝাড়খন্ডের চাইবাসায় বেশ কিছু দিন ধরে সক্রিয় হচ্ছে মাওবাদীদের একটি দল। মিসির বেসরা, আনমোল, মোছু, অনল, অসীম মন্ডল, অজয় মাহাতো-সহ মাওবাদীর কয়েক জন শীর্ষ নেতা নাশকতার ছক কষেছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। তার পরেই ঝাড়খণ্ড পুলিশ ও সিআরপিএফ যৌথ ভাবে অভিযান শুরু করে। গত ৪ মার্চ থেকে ছোটানাগরা, সরাইকেলা থানার সীমান্তবর্তী পাহাড় ও জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে তারা। সিআরপিএফ সূত্রে খবর, বাহিনীর উপর নাশকতা চালাতে আগে থেকেই মারাংপেঙার জঙ্গলে আইইডি বিস্ফোরক পেতে রেখেছিলেন মাওবাদীরা। তাতেই ওই দুর্ঘটনা।