প্রতীকী ছবি
এ বার করোনা আক্রান্ত হলেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। হাসপাতালের নার্স, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর কর্মী আক্রান্ত হওয়ার পরে জেলায় প্রথম একজন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হলেন। সোমবার রাতে সার্জারি বিভাগের ওই চিকিৎসকের করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। মঙ্গলবার তাঁকে রামপুরহাটের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রামপুরহাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একজন বৃদ্ধের ও রামপুরহাট ২ ব্লকের মাড়গ্রাম এবং ময়ূরেশ্বর থানা এলাকায় দু’জনের করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে। সব মিলিয়ে সোমবার রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় মোট চার জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে মোট ১৯৬ জন করোনা আক্রান্ত। তাঁদের মধ্যে মোট ৮ জন রামপুরহাট কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এক করোনা আক্রান্ত রোগীর অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই মেডিক্যালের ওই চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন বলে অনুমান স্বাস্থ্যকর্তাদের। গত বুধবার মুর্শিদাবাদের এক প্রৌঢ়ের হার্নিয়া অস্ত্রোপচার করার পরে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যুক্ত তিন শল্য চিকিৎসক, তিন জন অ্যানাস্থেসিস্ট ও চারজন নার্স এবং অপারেশন থিয়েটারের কর্মীরা গৃহ নিভৃতবাসে চলে যান। সাত দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় শল্যচিকিৎসা বিভাগ। স্যানিটাইজ় করা হয় ওটি রুম। সকলের করোনা-পরীক্ষা হলে একজন শল্য চিকিৎসকের সোমবার করোনা ধরা পড়ে।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্ত হলেও বর্হিবিভাগে পরিষেবা নিতে আসা অনেক রোগী ও রোগীর আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার বা দূরত্ব বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। এর ফলে হাসপাতালের কর্মীরা সুরক্ষার অভাব বোধ করছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। রামপুরহাট পুরসভা এলাকাতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেলেও এলাকার বাজারহাট, দোকানে দূরত্ব বিধি মেনে চলা বা মাস্কের ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা বোধের অভাব আছে। মাস্কের ব্যবহার বাধাতামূলক করার জন্য সোমবার শহরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করলেও মঙ্গলবারও অনেককে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায় নি। টোটো বা যন্ত্রচালিত রিকশা, ভ্যানে ছ’জন করে যাত্রী ঘেঁষাঘেষি করে যেতে দেখা গিয়েছে।
জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধিতে নতুন করে কন্টেনমেণ্ট জ়োন বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় ২৩টি কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। আগের ২২টি কন্টেনমেন্ট এলাকা থেকে রামপুরহাট থানার কাষ্ঠগড়া এলাকায় একটি সংসদের ও মুরারই থানার আমডোল এলাকার একটি সংসদের কন্টেনমেন্ট জ়োন তুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে সাঁইথিয়া থানার ফুলুর পঞ্চায়েতের বাতাসপুর গ্রাম সংসদের কয়েকটি এলাকা-সহ ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের কুণ্ডলা পঞ্চায়েতের ৯ নম্বর সংসদ এলাকা, বোলপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ রোড এলাকার কিছু অংশ কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy