Advertisement
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Boro Rice Cultivation

কনকনে ঠান্ডায় কৃষি-শ্রমিক সঙ্কট

এই অবস্থায় ছাই ছড়িয়ে বীজতলা গরম রাখা হয় বলে মত সোনামুখীর চাষি বিপত্তারণ বাগদির।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৮
Share: Save:

কাঁপুনি ধরানো ঠান্ডা। তবে চাষের জন্য তা ভাল বলেই জানাচ্ছেন বাঁকুড়ার কৃষকেরা। তবে বোরো ধানের বীজতলায় কিছু সমস্যা হতে পারে। প্রয়োজনে মিলছে না কৃষি-শ্রমিকও।

পাত্রসায়রের কুশদ্বীপের আলু চাষি উৎপল ঘোষ বলেন, “সবে আলুর চারা বেরোচ্ছে। কুয়াশা সে ভাবে নেই। ঠান্ডাও আছে ভাল। আলু চাষের জন্য জন্য একেবারে আদর্শ।” সোনামুখীর নিত্যানন্দপুর গ্রামের প্রকাশ সরকার আবার জানান, ঠান্ডায় আনাজ চাষে সুবিধা হবে। কুমড়ো ও শসার ফুল আসতে শুরু করেছে। ঠান্ডা এমন থাকলে ও বৃষ্টি না হলে ফলন ভাল হবে। ঠান্ডা যত থাকবে, ফুলকপি, বাঁধাকপির ফলন ভাল হবে, জানান পাত্রসায়রের চাষি রবি ঘোষও। পাত্রসায়রের সহকারী কৃষি আধিকারিক শৌভিক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই ঠান্ডা মোটামুটি সব চাষের জন্যই ভাল। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রার খুব পার্থক্য হলে সমস্যা হতে পারে।”

তবে বেশি ঠান্ডায় বোরোর বীজতলার বীজ শুকিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে বলে জানাচ্ছেন চাষিরা। এই অবস্থায় ছাই ছড়িয়ে বীজতলা গরম রাখা হয় বলে মত সোনামুখীর চাষি বিপত্তারণ বাগদির। এ ছাড়া, শীতে সোনামুখী, পাত্রসায়র, বিষ্ণুপুর-সহ জেলার অনেক জায়গাতেই কৃষি-শ্রমিকের অভাব রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাত্রসায়রের অরূপ মণ্ডল বলেন, “ভোরের দিকে মাঠে সেচ দেওয়া বা অন্য কাজের জন্য কৃষি-শ্রমিক মিলছে না।”

এ দিকে, ক্রমাগত পারদ পতনে ফি দিনই শীতলতম দিন পাচ্ছে পুরুলিয়া। তার জেরে বিশেষত গ্রীষ্মকালীন আনাজ বোনা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন জেলার নানা প্রান্তের চাষিরা। সমস্যা হচ্ছে বীজের অঙ্কুরোদ্গমে।

পুরুলিয়া ১ ব্লকের কাঁটাবেড়া গ্রামের চাষি পঙ্কজ মাহাতো জানান, শীতের আনাজ উঠতে শুরু করেছে। এ বার গ্রীষ্মকালীন আনাজ, যেমন— লাউ, ঝিঙে, উচ্ছে ইত্যাদি বোনার পালা। তবে ঠান্ডায় বীজ বুনতে সমস্যা হচ্ছে। কেন? পঙ্কজ বলেন, “অঙ্কুরোদ্গমের জন্য বীজ ভিজিয়ে রাখা হয়। তবে সাধারণত যতটা সময় লাগে, সেই সময়েও অঙ্কুর বেরোচ্ছে না। ভাবলাম, বীজ হয়তো ভাল মানের নয়। বীজের দোকানে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, প্রচণ্ড ঠান্ডাতেই অঙ্কুরোদ্গমে দেরি হচ্ছে।”

যদিও এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে জানাচ্ছে জেলা উদ্যানপালন দফতর। দফতরের এক আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু নন্দন জানান, ঠান্ডায় অঙ্কুরোদ্গমে কিছুটা দেরি হতে পারে। তবে ওই বীজ বুনলেও সমস্যা নেই। তাঁর কথায়, “তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গেলে পাতায় ফ্রস্টবাইটের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এখন জেলার তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রির আশপাশে রয়েছে। চাষিদের বলব, বিকেলের দিকেজমিতে সেচ দিতে।”

অন্য বিষয়গুলি:

purulia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy