Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

সারেঙ্গায় মারে মৃত্যু স্ত্রীর, গাছে স্বামীর দেহ

সাংসারে অশান্তি হয়েছিল। মারধরে জখম স্ত্রী ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হল তাঁর। স্বামী ছিলেন ফেরার। তাঁর পচাগলা ঝুলন্ত দেহ মিলল জঙ্গলের গাছে। সারেঙ্গার ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সারেঙ্গা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:২০
Share: Save:

সাংসারে অশান্তি হয়েছিল। মারধরে জখম স্ত্রী ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হল তাঁর। স্বামী ছিলেন ফেরার। তাঁর পচাগলা ঝুলন্ত দেহ মিলল জঙ্গলের গাছে। সারেঙ্গার ঘটনা।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সুকুমার সেন (৪৫) ও বুলু সেন (৪০) সারেঙ্গার সারুলিয়া এলাকার বাসিন্দা। সোমবার দম্পতির দেহ বাঁকুড়া মেডিক্যালে ময়না-তদন্তের পরে পরিজনদের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। ওই দম্পতির ছোট ছেলে প্রদীপ সেন জানান, ঝামেলা হয়েছিল বুধবার। তাঁর দাবি, ওই সময়ে পাঁচ মাসের মেয়েকে টিকা দেওয়াতে সস্ত্রীক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। দুপুরে বাড়ি ফিরে বাবাকে বেরিয়ে যেতে দেখেন।

প্রদীপ বলেন, “ঘরে ঢোকার মুখে দেখি, বাবা বেরিয়ে যাচ্ছেন। বেরনোর সময় বাবা আমাকে বললেন, ‘‘তোর মা কে মেরে ফেলেছি।’’ শুনে, দৌড়ে বাড়ি ঢুকে দেখি গলায় শাড়ি ও ফোনের চার্জারের তার পেঁচানো অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছে মা।”

প্রদীপের দাবি, তড়িঘড়ি মা-কে সারেঙ্গা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে রেফার করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে মৃত্যু হয় বুলির।

অন্য দিকে, ওই ঘটনার পরে সুকুমারের হদিশ মিলছিল না। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে সারেঙ্গার নেকড়াপাহাড়ির জঙ্গল থেকে সুকুমারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

প্রদীপ জানান, সুকুমার পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর মাঝেমধ্যেই সাংসারিক নানা খুঁটিনাটি নিয়ে মতের অমিল হত। সেই অশান্তি যে‌ এতদূর গড়াতে পারে, কল্পনাও করতে পারেননি প্রদীপ।

তিনি বলেন, “ইদানীং দু’জনের সম্পর্ক ঠিকই ছিল। আমি বাড়ি থেকে বেরনোর আগেও দু’জনের মধ্যে কোনও রকম অশান্তি হতে দেখিনি। ঠিক কী হয়েছিল, সেটাই বুঝতে পারছি না।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Death Couple Married Sarenga
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE