সিপিএমের অবস্থান বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
‘কাটমানি’ নিয়ে ফের আন্দোলনে সিপিএম। উন্নয়নের নামে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে এবং টাকা ফেরানোর দাবিতে রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসনিক ভবনের বাইরে বৃহস্পতিবার গণ-অবস্থান করল সিপিএম। সেই কর্মসূচিতে বেশ নাটকীয় ভাবে মাইকে একটি অডিয়ো রেকর্ড শুনিয়ে সিপিএম নেতারা দাবি করলেন, সেটি তৃণমূলের দুই নেতার ‘কাটমানি’ নিয়ে কথোপকথন।
দলের রামপুরহাট ১ নম্বর এরিয়া কমিটির উদ্যোগে এ দিন সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি হয়। তার আগে রামপুরহাট পুরসভার সামনে জমায়েত হয় সিপিএম কর্মীরা। সেখানে থেকে মিছিল করে মহকুমা প্রশাসনিক ভবনের বাইরে গণ-অবস্থান মঞ্চে যান। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মন। সভাপতিত্ব করেন দলের জেলা কমিটির সদস্য মতিউর রহমান। সঞ্জীববাবুর দাবি, রামপুরহাট ১ ও ২ ব্লক এবং রামপুরহাট পুরসভা এলাকায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে উপভোক্তাদের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বাংলা আবাস যোজনা এবং শহরাঞ্চলে সকলের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে উপভোক্তা পিছু ৪০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। ওই টাকা উপভোক্তাদের ফেরত দেওয়ার দাবিতেই এ দিনের অবস্থান।
এই মঞ্চেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি অডিয়ো রেকর্ডিং শুনিয়ে সিপিএম দাবি করে, সেটি রামপুরহাট পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর (যিনি শহরের পরিচিত তৃণমূল নেতাও) সঙ্গে অন্য এক তৃণমূল কাউন্সিলরের কথোপকথন। এই অডিয়ো নিয়ে রামপুরহাট থানায় অভিযোগও করেছেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় কাউন্সিলর সিপিএম কাউন্সিলর সঞ্জীব মল্লিক। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সকলের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে উপভোক্তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে মোট ১৮ লক্ষ টাকা কাটমানি যে নেওয়া হয়েছে, তা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে এই অডিয়ো কথোপথন থেকেই। তাই পুলিশি তদন্তের দাবি জানিয়েছি।’’
সিপিএমের আরও অভিযোগ, কাউন্সিলর সঞ্জীববাবুকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পুরসভার উন্নয়নমূলক কাজে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে এবং ওই অডিয়ো রেকর্ডিং নিয়ে মহকুমাশাসকের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে দলের তরফে।
সিপিএমের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রামপুরহাটের পুরপ্রধান, তৃণমূলের অশ্বিনী তিওয়ারি। তাঁর দাবি, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে কোনও দিনই উন্নয়নের কাজে বঞ্চিত করা হয়নি। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আমাদের বোর্ড হওয়ার আগেও তো ওই ওয়ার্ডে সকলের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে বাড়ি হয়েছে। তখন কেন কাউন্সিলর কাটমানির অভিযোগ করেননি?’’ তবে, অডিয়ো রেকর্ডিং প্রসঙ্গে পুরপ্রধানের বক্তব্য, তিনি তো খোঁজখবর নেবেনই, সঙ্গে বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বর নজরে আনা হবে। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই অডিয়ো ক্লিপিংয়ের প্রযুক্তিগত দিকের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো উচিত। আর দুর্নীতি হয়ে থাকলে থানায় অভিযোগ করা উচিত। অতীতে বাম আমলে বিভিন্ন ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy