—প্রতীকী ছবি।
শহরের নানা জায়গায় অবৈধ ভাবে বালি মজুত করে বাঁকুড়া পুরসভা বেচাকেনা করছে বলে অভিযোগ তুলে সোমবার জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হল সিপিএম। সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য প্রভাতকুসুম রায়ের অভিযোগ, শহরের নানা জায়গায় বালি মজুত করে রাখা হয়েছে। বাঁকুড়া পুরসভার একটি বিশেষ কুপনের মাধ্যমে সেই বালি বেচাকেনা করা হচ্ছে। পুরসভার পুরপ্রতিনিধিরাই কুপন বিলি করছেন। তাঁর দাবি, “পুরসভা এ ভাবে বালির ব্যবসা করতে পারে না। আমাদের সন্দেহ, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে বালি বিক্রির কারবারে যুক্ত রয়েছেন পুরকর্তারা।” প্রশাসনের তরফে অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
অভিযোগ তবে মানতে চাননি পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার। তিনি জানান, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পের প্রায় ৮০০টি বাড়ির কাজ চলছে শহরে। বালির অভাবে বাড়িগুলির কাজ ঢিমেতালে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় এক বালি ব্যবসায়ীকে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে ওই প্রকল্পের উপভোক্তাদের বালি বিক্রির অনুরোধ জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে।
প্রকল্পের উপভোক্তা, বাঁকুড়া শহরের নতুনচটি এলাকার বাসিন্দা শ্যামল কালিন্দী জানান, দিন কুড়ি আগে বাড়ি তৈরির জন্য এক ট্রাক বালি ৩,৭০০ টাকায় কিনেছিলেন। সদ্য পুরসভার কুপনে ওই ব্যবসায়ীর কাছে একই পরিমাণ বালি ৩,০০০ টাকায় পেয়েছেন। তিনি বলেন, “পুরসভার কুপন দিয়ে বাজারদরের চেয়ে কম দামে বালি পেয়েছি। তবে বালির মান ভাল নয়।”
প্রকল্পের উপভোক্তাদের চিহ্নিত করতে পুরসভার তরফে একটি অনুমতিপত্র দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে পুরপ্রধানের দাবি, “বালি বেচাকেনায় কোথাও পুরসভার কোনও ভূমিকা নেই। আমরা কেবল ওই ব্যবসায়ীকে ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পের উপভোক্তাদের কম দামে বালি দিতে অনুরোধ জানিয়েছি। বালির অভাবে বাড়ি তৈরির কাজে সমস্যা হচ্ছে বলে এই পদক্ষেপ।”
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অভয় মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ওই ব্যবসায়ীকেই কেন অনুরোধ জানাল পুরসভা, তা দেখা দরকার। পাশাপাশি, গোটা ঘটনায় কোথাও স্বজনপোষণ হচ্ছে না কি, প্রশাসন তা-ও দেখুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy